IND vs WI: অর্ধশতরান বাবার জন্য, সেঞ্চুরির ইনিংস ধ্রুব উৎসর্গ করলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে
Dhruv Jurel Century: মাত্র ৬ নম্বর টেস্ট খেলতে নেমেই প্রথম শতরানটি হাঁকিয়ে ফেললেন। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হয়েছিল। যেখানে নজর কেড়েছিলেন ব্য়াটিংয়ে।

আমদাবাদ: প্রথমে অর্ধশতরান ও পরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই অভিনব সেলিব্রেশন। কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট শতরান। যা অত্যন্ত স্পেশাল হয় যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে। ধ্রুব জুড়েলও গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমদাবাদে নিজের প্রথম টেস্ট শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন। নিজেই দিনের শেষে জানালেন অর্ধশতরানের সেলিব্রেশনটি ছিল বাবার জন্য। আর সেঞ্চুরির সেলিব্রেশনটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করে।
মাত্র ৬ নম্বর টেস্ট খেলতে নেমেই প্রথম শতরানটি হাঁকিয়ে ফেললেন। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে অভিষেক হয়েছিল। যেখানে নজর কেড়েছিলেন ব্য়াটিংয়ে। কিন্তু সেঞ্চুরি বারবার অধরাই রয়ে গিয়েছিল। গত ইংল্য়ান্ড সফরে শেষ টেস্টে সুযোগ চলে আসে কারণ পন্থ চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায়। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জুড়েলকেই দুটো টেস্টে উইকেটের পেছনে দেখা যাবে। বাজপাখির মত উড়ে সিরাজ, বুমরাদের বল লুফে নিতে এই টেস্টে দেখা গিয়েছে ধ্রুবকে বেশ কয়েকবার। এবার ব্যাট হাতেও নিজের জাত চেনালেন। ২১০ বলে ১২৫ রানের ইনিংসে ১৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কাও হাঁকালেন। ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ধ্রুবের বাবা। অর্ধশতরানের পর তাই বাবাকে স্যালুট জানিয়ে সেলিব্রেশন করতে দেখা গেল তরুণ এই ক্রিকেটারকে। আর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছনোর পর সেলিব্রেশনে আরও চমক অপেক্ষা করছিল। ব্য়াট দিয়েই গার্ড অফ অনার দিলেন। লম্বালম্বি ব্যাটটি ধরে অভিনব সেলিব্রেশন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করেই এই সেলিব্রেশন ছিল বলে জানিয়েছেন ধ্রুব নিজেই।
ধ্রুব বলছেন, ''অর্ধশতরান করার পর সেলিব্রেশনটি বাবার জন্য ছিল। আর শতরান হাঁকানোর পর সেলিব্রেশনটি ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি ওঁরা কতটা পরিশ্রম করে। আমি সবসময় তাই সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই।''
২৪ বছরের তরুণ পঞ্চম ভারতীয় উইকেট কিপার ব্যাটার যিনি ক্যারিবিয়ান দলের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম টেস্ট শতরান হাঁকালেন। এর আগে বিজয় মঞ্জরেকর, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, অজয় রাত্রা, ঋদ্ধিমান সাহা এই তালিকায় আছেন।
নিজের ব্য়াট হাতে সাফল্যের পেছনে প্রাক্তন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক জো রুটের অবদান আছে বলেও জানিয়েছিলেন জুরেল। এক মরশুমের জন্য জো রুটের সঙ্গে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের সাজঘর ভাগ করেছিলেন জুরেল। তাঁর ব্যাটিংয়ে অল্প বিস্তর বদল ঘটিয়ে তাঁকে সাফল্য পেতে রুটের বড় অবদান রয়েছেন বলেই জানান জুরেল। তিনি ম্য়াচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমার ব্যাটিংয়ে যখনই কিছু সমস্যা হয়, তখনই আমি ওঁর কাছে যাই। বিভিন্ন পরিস্থিতি সামলানোর জন্য ওঁ আমায় খুব সহজ ও ছোট ছোট কিছু সমাধান বলে দেন। ওঁ সবসময় বলেন যে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। তবে প্রতিনিয়ত একই জিনিস করে গেলে, খাটা খাটনি করলে ফলাফল আসতে বাধ্য।'




















