S Sreesanth: ফের বিতর্কে শ্রীসন্থ, কেরল পেসারের বিরুদ্ধে উঠল এবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ
IND vs AUS: ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল রাজীব কুমার ও বেঙ্কটেশ কিনি নামের দুই ব্যক্তির পরিচয় হয়। তাঁরা জানান যে কর্ণাটকের কল্লুর জেলায় একটি খেলার অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চান তাঁরা। যার অংশীদার শ্রীসন্থও।
কোচি: ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন। এবার আরও একবার বিতর্কের কেন্দ্র এস শ্রীসন্থ (S Sreesanth)। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তারকা প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে এক যুবকের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন আরও ২ ব্যক্তি। কেরলের এক যুবক শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল রাজীব কুমার ও বেঙ্কটেশ কিনি নামের দুই ব্যক্তির পরিচয় হয়। তাঁরা জানান যে কর্ণাটকের কল্লুর জেলায় একটি খেলার অ্যাকাডেমি তৈরি করতে চান তাঁরা। যার অংশীদার শ্রীসন্থও। সেই যুবককেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল না কি যে চাইলে তিনিও অংশীদার হতে পারেন।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী সেই যুবকের নাম শ্রীশ। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তিনি পরবর্তীতে শ্রীসন্থ ও সেই ২ ব্যক্তিতে অল্প অল্প করে মোট ১৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তবে শ্রীশ পরে জানতে পারেন যে অ্যাকাডেমির কথা বলা হয়েছিল, তেমন কোনও অ্যাকাডেমিই নাকি তৈরি হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত বছরই ২২ গজকে বিদায় জানান এস শ্রীসন্থ। ক্রিকেটের সবরকম ফর্ম্যাট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেরলের এই অভিজ্ঞ তারকা পেসার। ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়ে নির্বাসিত হয়েছিলেন। ফিরে এসে কেরলের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মাঠে নেমেছিলেন। রঞ্জির প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন। পরে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে খেলেওছিলেন। ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীসন্থ। আইপিএলের নিজের বেস প্রাইস ৫০ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিই তাঁকে নেয়নি। এরপরই হয়ত ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। অবশেষে আজ ট্যুইটে সেই ঘোষণা করেই ফেললেন ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য।
৯ বছর পর ২২ গজে ফিরে উইকেট নেওয়ার পর পিচে চুমু খাওয়ার সেলিব্রেশন এখনও টাটকা। কিন্তু হঠাৎই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীসন্থ। তিনি লেখেন, ''আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কথা ভেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমারই। যদিও জানি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার জীবনে কোনও খুশি আসবে না, তবু আমার মতে, জীবনের এই সময়ে এটাই সিদ্ধান্তটাই সঠিক। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। ২৫ বছরের ক্রিকেটজীবনে বরাবর সাফল্য পেতে এবং ম্যাচ জিততে চেষ্টা করেছি। প্রতিযোগিতার মান অনুযায়ী প্রস্তুত করেছি নিজেকে।''