Carles Cuadrat Resigns: আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের, দায়ভার কাঁধে নিয়ে কোচের পদ থেকে সরলেন কুয়াদ্রাত
East Bengal Head Coach Resigns: আইএসএলে লাল হলুদের হারের হ্যাটট্রিক। সমর্থকদের সমালাচনায় বিদ্ধ হয়ে কোচের পদ থেকে সরলেন কুয়াদ্রাত।
কলতাতা: ইস্টবেঙ্গল কোচের পদ থেকে কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat Resign) পদত্যাগ। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) অন্তর্বর্তীকালিন কোচ বিনো জর্জ। আইএসএলে(ISL 2024) লাল হলুদের হারের হ্যাটট্রিক। সমর্থকদের সমালাচনায় বিদ্ধ হয়ে কোচের পদ থেকে সরলেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের তরফে সোমবারই একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে হেচকোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ।
চলতি বছরের শুরুতেই জানুয়ারিতে কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। গত বছর ডুরান্ড কাপে রানার্স আপ হয়েছিল লাল হলুদ শিবির। সেখানেও কোচের দায়িত্বে ছিলেন এই স্প্যানিশই। কিন্তু আইএসএলের শুরু থেকেই ক্রমেই ধাক্কা খেতে থাকে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি। এরপরই সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘরের মাঠ সল্টলেক স্টেডিয়ামেও গ্যালারি থেকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় কুয়াদ্রাতকে। এরপরই দু’পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কুয়াদ্রাতের সিদ্ধান্তকেই সম্মতি জানানো হবে। সেই মতই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতেই তা ক্লাবের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি আইএসএলে কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে এখনও পর্যন্ত প্রথমে দুটো অ্যাওয়ে ম্য়াচে বেঙ্গালুরু ও কেরালার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল লাল হলুদ শিবির। এরপর ঘরের মাঠে এফ সি গোয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয় তাঁদের।
View this post on Instagram
আপাতত বিনো জর্জকে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের বৈঠকের মাধ্যমে হয়ত পরবর্তী হেডকোচ ঘোষণা করা হবে। গত বছর একের পর এক সাফল্য কুয়াদ্রাতকে লাল হলুদ সমর্থকরা ভালবেসে 'প্রফেসর' আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু ক্রমে একের পর এক ম্য়াচ হারে যে মোহভঙ্গ হয়েছে। পরিস্থিতি কঠিন বুঝতে পেরেই অবশেষে সরে দাঁড়ালেন কুয়াদ্রাত।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারার পর ২ দিন আগেই কুয়াদ্রাত জানিয়েছিলেন, ''আমরা চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচের আগে একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু তা কাজে আসেনি। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। কুড়ি মিনিটের মধ্যে দুটো গোল খেয়ে গেলে পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা অন্যদের চেয়ে গোলের সুযোগ তৈরিতেও পিছিয়ে আছি। গত ম্যাচ পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ১৯। অবস্থা এমনই। তিনটে ম্যাচের কোনওটাতেই আমরা ভাল খেলতে পারিনি।'' নিজেই বুঝতে পারছিলেন যে তাঁর সময় ফুরিয়ে এসেছে।