Mohun Bagan: মোহনবাগান ক্লাবে ঢুকে 'অবৈধ' স্টল ভেঙে দিল সেনাবাহিনি, কী বলছেন কর্তারা?
Indian Army: মাস কয়েক আগে ইস্টবেঙ্গলের একটি শৌচালয়ও ভেঙে দিয়ে দিয়েছিল সেনাবাহিনি। তখনও অভিযোগ উঠেছিল, সেনার অনুমতি না নিয়ে নির্মাণকাজ করেছিল লাল হলুদ শিবির।

কলকাতা: সেনাবাহিনির থেকে 'লিজ' নেওয়া জমিতে সেনার অনুমতি না নিয়ে কিয়স্ক নির্মাণের অভিযোগ। শুক্রবার সাতসকালে মোহনবাগান ক্লাবে (Mohun Bagan) ঢুকে সেই 'অবৈধ' স্টল ভেঙে দিল সেনাবাহিনি। সেই সঙ্গে মাঠের ধারে থাকা হোর্ডিংও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সবুজ-মেরুন কর্তারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, ফুটবলারদের আইস বাথ নেওয়ার ও বিশ্রামের যে জায়গা ছিল, সেটাও ভাঙচুর করা হয়েছে।
মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য কৌশিক কোনার সকালে খবর পেয়েই ক্লাব তাঁবুতে যান। তিনি যখন যান, সেনাবাহিনি তখন ক্লাব ছেড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে। তাই সরাসরি কথা বলা সম্ভব হয়নি। কৌশিক বলেন, 'ক্লাবে এসে দেখলাম আমাদের মার্চেন্ডাইজ বিক্রির জন্য যে অস্থায়ী কিয়স্ক নির্মাণ করা হয়েছিল, তা ভেঙে দিয়ে গিয়েছে। মাঠের ধারের হোর্ডিং, ফ্লেক্সও ভাঙা বা সরানো হয়েছে। আমি যখন ঢুকলাম, দেখলাম ওদের চারজন ছিল। আমি যখন ঢুকেছি, তখন বেরিয়ে গিয়েছেন। মাঠের ধারে ব্র্যান্ডিংয়ের ফ্লেক্স ভাঙা হয়েছে।'
মাস কয়েক আগে ইস্টবেঙ্গলের একটি শৌচালয়ও ভেঙে দিয়ে দিয়েছিল সেনাবাহিনি। তখনও অভিযোগ উঠেছিল, সেনার অনুমতি না নিয়ে নির্মাণকাজ করেছিল লাল হলুদ শিবির। সেই কারণে সেই নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়।
সেনার জায়গায় সঠিক অনুমতি না নিয়ে কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছিল বলেই কি ভেঙে দেওয়া হল মার্চেন্ডাইজ স্টল? কৌশিক বলেছেন, 'বিষয়টি ক্লাব কর্তৃপক্ষ দেখবে। নিশ্চয়ই সেনাবাহিনির সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে আমরা এতদিনে এই ছবি আগে দেখিনি।'
Sensation and trolling apart, I really want to know why did Indian Army do what they did at the #MohunBagan ground today. Yes, it's army space, but why there was a need to destroy things instead of engaging in dialogue if some rules were broken? Anyone has any fair idea?
— Debapriya Deb (@debapriya_deb) November 15, 2024
এমনিতে গোটা ময়দান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। সিএবি-কে যেমন ইডেন গার্ডেন্সের জন্য সেনাবাহিনির সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। লিজ নিতে হয় মাঠ। ময়দানের ক্লাবগুলিকে কোনও স্থায়ী নির্মাণ করতে গেলে বা কোনওরকম খোঁড়াখুঁড়ি করতে হলেও সেনার অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক বছর ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ময়দানের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সেনার হাতে। ওই সময় ময়দানের ক্লাবগুলির নির্মাণ পর্যালোচনা করা হয়। অনুমতিবিহীন কোনও নির্মাণ হলে সেটা ভেঙে দেওয়া হয়। তবে কেন ভাঙচুর চালানোর আগে মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে কথা বলা হল না সেনাবাহিনির তরফে, সেই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: আইপিএল নিলামের আগে বিধ্বংসী ছন্দে ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত পাকিস্তান
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
