Messi India Tour: মেসির সফরকে ঘিরে তাণ্ডবে তছনছ স্টেডিয়াম, কত টাকা ক্ষতি হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের?
Lionel Messi In Kolkata: এখন প্রশ্ন উঠছে, স্টেডিয়াম মেরামতির এই বিপুল পরিমাণ খরচ বহন করবে কে? আর এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

কলকাতা: লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) দেখতে না পেয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ভাঙচুর ভক্তদের। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি থেকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা মতো। এখন প্রশ্ন উঠছে, স্টেডিয়াম মেরামতির এই বিপুল পরিমাণ খরচ বহন করবে কে? আর এরই মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
মেসিকে না দেখতে পেয়ে ভক্তদের স্বপ্নভঙ্গ। আর তার খেসারত দিতে হল জনগণের করের টাকা খরচ করে ঢেলে সাজানো যুবভারতীকে। সূত্রের দাবি, শনিবার যুবভারতীতে ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির! ভাঙচুর করা হয়েছে অসংখ্য বাকেট চেয়ার। সবচেয়ে বেশি বাকেট চেয়ার ভাঙা হয়েছে লোয়ার টিয়ারে।
বাকেট চেয়ার ছাড়াও ভাঙা হয়েছে গ্যালারির লেভেল টু ও লেভেল থ্রি-র রেলিং। প্লেয়ারদের মাঠে নামার টানেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে গোলপোস্টের নেট। গোলপোস্টের একটা অংশও উপড়ে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টার্ফ।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি থেকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। এর আগে ১৯৮৮ সালে এই যুবভারতী স্টেডিয়ামেই ভাঙা হয়েছিল বাকেট চেয়ার। এরপর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে বাকেট চেয়ার খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। আবার ২০১৭ অনুর্ধ্ব বিশ্বকাপের সময় ঢেলে সাজানো হয় সল্টলেক স্টেডিয়ামকে। তখন ফের গোটা স্টেডিয়ামে বসানো হয় বাকেট চেয়ার। আর এই চেয়ারই শনিবার ভাঙচুর করে উন্মত্ত দর্শক।
এসবের পর প্রশ্ন উঠছে, স্টেডিয়াম মেরামত করার এই বিপুল পরিমাণ খরচ কে বহন করবে? রাজ্য সরকার নাকি উদ্যোক্তারা?
এরই মধ্যে আবার সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ, তিনি লিখেছেন, যুবভারতী মেরামতির টাকা সরকারি কোষাগার থেকে যাবে কেন? যারা মাঠের মধ্যে মেসির সঙ্গে ছবি তুলছিল, নিজেদের ছবি তোলাচ্ছিল, সব ফুটেজ থেকে তাদের লিস্ট হোক। তারা কে, কোন অধিকারে ওখানে ছিল, প্রকাশ্যে আসুক। ওদের জন্য দর্শকরা বঞ্চিত। ওরাই দর্শকদের দেখতে দেয়নি। মূল আয়োজক এবং ওদের কাছ থেকে স্টেডিয়ামের ক্ষতিপূরণের টাকা তোলা হোক। একটা প্রভাবশালীও যেন ছাড় না পায়। সঙ্গে ভাঙচুরে যে কিছু গুন্ডা দেখা যাচ্ছে, তাদের থেকেও জরিমানা নেওয়া হোক।"
জানুয়ারিতে এই যুবভারতীতেই রয়েছে ISL-এর ম্যাচ। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে এক মাসেরও বেশি সময় লাগবে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। সেক্ষেত্রে ISL-এর ম্যাচ ঘিরেও কি তৈরি হতে পারে অনিশ্চয়তা?






















