(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sunil Chhetri Retirement: ৩০ বছরের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন স্তিমাচ
Igor Stimac: ১৯৮৫ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সেই থেকে কখনওই প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পেরতে পারেনি ভারত।
কলকাতা: তাঁর কেরিয়ারেও এমন অনেক ম্যাচ খেলেছেন ইগর স্তিমাচ (Igor Stimac), যে ম্যাচ হয়তো মরণ-বাঁচন ছিল না, কিন্তু ছিল তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক যেমন হতে চলেছে ৬ জুন যুবভারতী স্টেডিয়ামে ভারত-কুয়েত (India vs Kuwait) ম্যাচ। যে ম্যাচ সুনীল ছেত্রীর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ইতি টানার মঞ্চ। তবে কুয়েতকে হারালে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের (FIFA World Cup Qualifiers) তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ বাড়বে ভারতের। তৃতীয় রাউন্ডে ওঠা মানে পরের এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জনও সম্পন্ন করে ফেলা। আর সেই ম্যাচকে গত তিন দশকের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচ হিসাবে চিহ্নিত করলেন স্তিমাচ।
১৯৮৫ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিল ভারত। কিন্তু সেই থেকে কখনওই প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পেরতে পারেনি ভারত। স্তিমাচ বলেছেন, 'গত তিন দশকের মধ্যে ভারতীয় দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে কুয়েতের বিরুদ্ধে দ্বৈরথ। ভারত কোনওদিন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে পারেনি। সেই সুযোগের সামনে চলে আসাটাও কৃতিত্বের। তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে পারলে সেটা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস হবে। এশিয়ার সেরা দেশগুলির বিরুদ্ধে আরও দশটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়াটা বিরাট এক প্রাপ্তি হবে। বিশ্ব ফুটবলের বড় মঞ্চে খেলার স্বপ্ন আরও গাঢ় হবে ভারতের।'
কেমন চলছে কলকাতায় ভারতীয় ফুটবলারদের প্রস্তুতি? স্তিমাচ বলেছেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্র্য়াক্টিস করার আর একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে যাচ্ছি। তাতে খেলার সংহতি বাড়ে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে গেলে যেটা লাগে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আমাদের কয়েকটি জিনিস করতে হবে। মানসিক ও শারীরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য যা জরুরি। তাতে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। ছেলেদের ছন্দের শীর্ষে রাখতে যা যা করার প্রয়োজন সবই করছি।'
এরপরই স্তিমাচ যোগ করেছেন, 'এই ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতির দুটি দিক রয়েছে। ম্যাচটি জেতা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই লক্ষ্যপূর্ম করতে গেলে আমাদের চতুর হতে হবে। মাথায় রাখতে হবে যে, এই ধরনের ম্যাচে ধৈর্য কতটা প্রয়োজন। প্রথম ৩০ মিনিট গোল না পেলে আমাদের খেলার গতি ধরে রেখে ভাল ফুটবল খেলে যেতে হবে। অধৈর্য না হয়ে পড়ে। আর তার জন্য শুধু মাঠের ১১ জন নয়, বেঞ্চে বসা পাঁচজনকেও তৈরি থাকতে হবে। যারা যে কোনও সময় মাঠে নামতে পারে পরিবর্ত হিসাবে।'
গত এক বছরে কুয়েতের সঙ্গে তিনবার খেলেছে ভারত। যার মধ্যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টাইব্রেকারে কুয়েতকে হারিয়ে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির রয়েছে। যা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে ভারতীয় দলকে।
আরও পড়ুন: দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেই বিয়ে সারলেন কেকেআর তারকা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।