(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Ostader Maar: কাঁধের অসহনীয় ব্যথা উপেক্ষা করে খালি পেটেই ইতিহাস গড়েছিলেন হরমনপ্রীত কৌর
Harmanpreet Kaur: ২০১৭ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ান ডের নক আউটে ১৫০-র অধিক রান করেন হরমনপ্রীত কৌর।
কলকাতা: ২০১৭ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) ১৭১ রানের অনবদ্য ইনিংসের স্মৃতি আজও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে তাজা। সেদিন হরমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালে দ্বিতীয়বার নিজেদের জায়গা পাকা করেছিল ভারতীয় মহিলা দল (Indian Women's Cricket Team)। তবে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের দিন সকালে প্রাতঃরাশটুকুও জোটেনি হরমনপ্রীতের ভাগ্যে। খালি পেটেই মাঠে নেমে ইতিহাস গড়েন হরমনপ্রীত।
হরমনপ্রীতের রেকর্ড
বৃষ্টিবিঘ্নিত ৪২ ওভারের ম্যাচে শুরুটা খুব একটা ভাল করেনি ভারতীয় দল। দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা (৬) ও পুনম রাউত (১৪) উভয়েই অল্প রানে আউট হওয়ায় মাঠে চারে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন হরমনপ্রীত। তার পরেই একের পর এক লম্বা লম্বা ছক্কা, দুরন্ত চারে অজি বোলারদের বাউন্ডারির বাইরে ছুড়ে ফেলার কাজ শুরু করেন হরমন। ১১৫ বলে হরমনপ্রীতের অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ২০টি চার ও সাতটি ছক্কায়। এই ইনিংসের সুবাদে ইতিহাস গড়ে ফেলেন হরমনপ্রীত। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ান ডের নক আউটে ১৫০-র অধিক রান করেন হরমন।
এই ইনিংসের আগে কিন্তু কাঁধের ব্যাথায় জেরবার ছিলেন। সেই স্মরণীয় ইনিংসের স্মৃতিচারণ করে পরবর্তীতে হরমন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, 'ওই সময় আমি কাঁধের চোটে ভুগছিলাম। দিনদিন তার যন্ত্রণা আরও বেড়েই চলেছিল। থ্রো তো করতে পারছিলামই না। ব্যাট করতে গেলেও লাগছিল। আমি ম্যাচের দিন ভোর পাঁচটার সময় ফিজিওর ঘরে চলে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম এমনভাবে কাঁধটা ঠিক করে দিতে যাতে ম্যাচের সময় কোনও যন্ত্রণা না হয়। আগের ম্যাচগুলিতে আমি ব্যথা নিয়েই খেলেছিলাম। ওঁ দারুণভাবে আমার কাঁধে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিল।'
One of the greatest innings in World Cup history 🙌
— ICC (@ICC) July 20, 2022
On this day in 2017, Harmanpreet Kaur smashed 171* off just 115 balls in the #CWC2017 semi-final 📺
ওপেনার হরমনপ্রীত!
কিন্তু আড়াই ঘণ্টা ধরে এই কাঁধের ব্যথা কমানোর প্রক্রিয়ার জেরেই ঘটে বিপত্তি। নীচে ফিরে আসার পর হরমনপ্রীতদের আর খাওয়ার সময়ই ছিল না। তাই পরিকল্পনা ছিল মাঠে গিয়ে খাবার খেয়ে খেলতে নামার। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। 'মাঠে পৌঁছনোর পর আমায় জানানো হয় বৃষ্টির জন্য যদি ম্যাচ ২০ ওভারের হয়, তাহলে আমি ওপেন করব। তার বেশি ওভারের ম্যাচ হলে আমাদের সাধারণ ব্যাটিং লাইনআপই থাকবে। আমি হ্যাঁ তো বলে দিয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একবার ওপেন করলেও এমন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে আমি কখনও ওপেন করিনি। তাই নাওয়া খাওয়া সব ভুলেই গিয়েছিলাম আমি।' জানান হরমন।
ম্যাচে নিজের ইনিংসের মাঝে শিরায় টান ধরতে শুরু করলে তবেই হরমনপ্রীত বুঝতে পারেন তিনি না খেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন। হরমনপ্রীতের এই কালজয়ী ইনিংসে ভর করেই কিন্তু ম্যাচ জেতে ভারতীয় দল। ৪২ ওভারে ভারত চার উইকেটের বিনিময়ে ২৮১ রান তোলে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ২৪৫ রানেই অল আউট হয়ে যায়। ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছয় ভারত।
আরও পড়ুন: বোলিং অ্যাকশনে আমূল বদল ঘটিয়েই ২০১৮ সালে এজবাস্টনে বাজিমাত করেন অশ্বিন