Ostader Maar: বোলিং অ্যাকশনে আমূল বদল ঘটিয়েই ২০১৮ সালে এজবাস্টনে বাজিমাত করেন অশ্বিন
Ravichandran Ashwin: এজবাস্টনে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অশ্বিন প্রথম ইনিংসে চার ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নেন। তা সত্ত্বেও অবশ্য ম্যাচ হারতেই হয় ভারতীয় দলকে।
কলকাতা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) টেস্টে ভারতের (Indian Cricket Team) সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। একগুচ্ছ রেকর্ড রয়েছে ৩৬ বছর বয়সি ভারতীয় অফ স্পিনারের দখলে। তবে 'সেনা' দেশে (দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রলিয়া) অশ্বিনের পারফরম্যান্স নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। এই দেশগুলিতে অশ্বিনের রেকর্ড আহামরি নয়। কিন্তু ২০১৮ সালের এজবাস্টন টেস্টে অশ্বিনের স্পিনের জাদুতেই নাজেহাল হতে হয়েছিল অ্যালেস্টার কুকদের। ম্যাচে মোট সাতটি উইকেট নেন অশ্বিন।
অশ্বিনের স্পিনে কুপোকাত কুকরা
প্রথম ইনিংসে কুক, বেন স্টোকস, জস বাটলার ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন। তাঁর দাপটেই ২৮৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে বিরাট কোহলির অনবদ্য ১৪৯ রান সত্ত্বেও ২৭৪ রানের বেশি এগোতে পারেনি ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ফের জ্বলে উঠেন অশ্বিন। কুক, জো রুট এবং কিটন জেনিংস, ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকেই আউট করেন অশ্বিন। 'সেনা' দেশে এটাই অশ্বিনের বল হাতে সেরা পারফরম্যান্স। অশ্বিনের দাপটেই দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। তবে দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ১৯৩ রানের লক্ষ্যও তাড়া করতে ব্যর্থ হয় ভারত।
৩১ রানে ম্যাচ হারে ভারত। তবে অশ্বিনের এই পারফরম্যান্স কিন্তু সকলেরই বাহবা কুড়িয়ে নেন। ম্যাচ শেষে ভারতীয় বোলিং কোচের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েই অশ্বিন নিজের সাফল্য রহস্য ফাঁস করেন। তিনি জানান, 'গত বছর দেড়েকে আমি ঘরের মাঠে প্রচুর ক্লাব ক্রিকেট খেলেছি। আমি নিজের বোলিং অ্যাকশন বদলের জন্য অনেক খাটা খাটনিও করেছি। বোলিং করার সময় বেশি করে নিজের শরীর ব্যবহার করে ফ্লাইটেই আমি ব্যাটারদের মাত দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এদিন সফলভাবে এটা করতে পেরেছিও।'
বোলিং অ্যাকশন বদলের কারণ
নিজের বোলিং অ্যাকশন বদলের কারণ হিসাবে অশ্বিন জানান, 'আমি বরাবরই ব্যাটসম্যানদের ফ্লাইটে মাত দিতে চাই। তবে এই প্রয়াসে অনেক সময়ই শরীর সঙ্গ দেয় না। অনেক সময়ই বল মাঝপিচে বা বেশি আগে পড়ে যায়। সেই কারণেই আমি নিজের বোলিং অ্যাকশন বদলের জন্য সচেষ্ট হই। এক নির্দিষ্ট অ্যাকশন নিয়ে বহুদিন আমি অনেক সাফল্যই পেয়েছি। তাই বেশ কিছু বদ অভ্যেসও আমার মধ্যে চলে এসেছিল। তাই নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই আমায় আমার বোলিং অ্যাকশনে এই বদলটা করতে হয়।' বিলেতের মাটিতে এটাই অশ্বিনের সেরা সিরিজ ছিল। তবে এই পারফরম্যান্স সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের মাটিতে সম্প্রতি টেস্ট সিরিজে কিন্তু অশ্বিন একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি।
আরও পড়ুন: পাক পেসারের বিষ সামলে হাফসেঞ্চুরি, ধোনিকে গিয়ে বলেছিলেন, ভাই বল করতে চাই