মায়ের কথা ভেবেই বাউন্সারে ঘায়েল হয়েও মাঠ ছাড়েননি হাশমতুল্লাহ, লড়াই করেছেন দলের দুঃসময়ে
ম্যাঞ্চেস্টারে একদিকে যখন ব্রিটিশদের এই জয় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হচ্ছে তখনই অন্যদিকে এক অনন্য লড়াইয়ের গল্প লিখে গেলেন এক আফগানও।
ম্যাঞ্চেস্টার: মঙ্গলবারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড চিরকালীন হয়ে থাকল অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের জন্য। ৭১ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস, যেখানে ছক্কা রয়েছে ১৭টি। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই একজন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে বিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৫০ রানের ব্যবধানে জয়ের নজিরও গড়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারে একদিকে যখন ব্রিটিশদের এই জয় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হচ্ছে তখনই অন্যদিকে এক অনন্য লড়াইয়ের গল্প লিখে গেলেন এক আফগানও।
৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, মার্ক উডের ঘাতক বাউন্সারে একেবারে দিশাহীন হয়ে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান হাশমতুল্লাহ শাহিদি। হেলমেটে বল লাগা মাত্রই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন আফগান ব্যাটসম্যান। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন আইসিসি-র চিকিৎসক এবং আফগানিস্তান দলের ফিজিও। তাঁরা হাশমতুল্লাহকে মাঠ ছাড়ার পরামর্শ দেন। তবে তাঁদের পরামর্শকে অগ্রাহ্য করেই ব্যাটিং করে যান এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। শেষপর্যন্ত তাঁর দল ১৫০ রানে হারলেও ৭৬ রান করে যান হাশমতুল্লাহ শাহিদি।
তখন কেন মাঠ ছাড়েননি? হাশমতুল্লাহ জানান, মায়ের কথা ভেবেই তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, “আমি তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়েছিলাম কেবল আমার মায়ের কথা ভেবে। গত বছরই আমি বাবাকে হারিয়েছি। আমি চাইনি আমাকে নিয়ে মা আবার চিন্তায় পড়ুক। আমার গোটা পরিবার এই ম্যাচ দেখছিল। আমি কাউকে চিন্তায় ফেলতে চাইনি।”
উডের বাউন্সারে হেলমেট ফেটে যায় হাশমতুল্লাহ শাহিদির।। চিকিৎসকরা তাঁকে মাঠ ছাড়ার পরামর্শ দিলে তিনি বলেন, “আমি আমার দলকে এই অবস্থায় ফেলে রেখে যেতে পারি না। সতীর্থদের আমাকে প্রয়োজন।” এরপর তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যান। পরে আইসিসি-র চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন হাশমতুল্লাহ। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই।