IPL 2024: শেষ ওভারে ব্যাটে ঝড় বাংলার অভিষেকের, পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৭৪/৯ বোর্ডে তুলল দিল্লি
DC vs PBKS: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাল পারফর্ম করে আইপিএলে দল পেয়েছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালস গত কয়েক মরশুম ধরে তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে।
চণ্ডীগড়: দাদা ঈশান পোড়েল পাঞ্জাব কিংসে (Punjab Kings) খেলতেন একটা সময়। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি বাংলা ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাল পারফর্ম করে আইপিএলে (IPL 2024) দল পেয়েছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) গত কয়েক মরশুম ধরে তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে। কিন্তু সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তবে এদিন পেলেন। চলতি আইপিএলে দিল্লির প্রথম ম্য়াচেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামলেন। আর শুধু নামলেনই নয়। শেষ ওভারে হর্ষল পটেলকে দিলেন ২৫ রান। মোট ১০ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেললেন। যার সুবাদে দিল্লির স্কোরও ১৭৪/৯-এ পৌঁছে গেল।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধবন। চার বিদেশি হিসেবে এদিন দিল্লি তাঁকে একদাশে নিয়েছিল মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রিস্টান স্টাব ও শাই হোপকে। পৃথ্বী শ-কে খেলানো হয়নি। তাঁর বদলে মার্শ ও ওয়ার্নার অজি জুটি নামের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে। শুরু থেকেই মারমুখি ব্যাটিং শুরু করেন ২ জনেই। মাত্র তিন ওভারের মধ্য়ে ৩৯ এ পৌঁছে যায় দিল্লি। শেষ পর্যন্ত অর্শদীপ সিংহ প্রথম আঘাত হানেন দিল্লি শিবিরে। মার্শ ভাল শুরু করেও ২০ রান করে ফেরেন রাহুল চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ওয়ার্নার ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনটি বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে। শাই হোপ নেমেছিলেন তিন নম্বরে। তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ২টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। স্টাব ৫ রান করে ফেরেন। তবে সবার নজর ছিল ঋষভ পন্থের দিকে। প্রায় দেড় বছর পর মাঠে ফিরলেন। জীবন নিয়ে সংশয় ছিল। সেখান থেকে মাঠে ফিরলেন। বাঁহাতি উইকেট কিপার ব্যাটারকে গোটা গ্যালারি উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন। ১৩ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেললেন দিল্লি অধিনায়ক। ২ টা বাউন্ডারিও হাঁকান।
তবে এরপর অক্ষর পটেলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিষেক পোড়েল। প্রথম দিকে অক্ষরকে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন। ১৩ বলে ২১ রান করে অক্ষর ফিরে যাওয়ার পর কুলদীপ আসেন। নন স্ট্রাইকার এণ্ডে ছিলেন চায়নাম্য়ান। শেষ ওভারে হর্ষল পটেলের সামনে পড়েন অভিষেক। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে খেলায় দিল্লি শিবির। ১০ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে বাঁহাত উইকেট কিপার ব্যাটার চারটি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান। পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ ও হর্ষল। ১টি করে উইকেট নেন রাবাডা, হরপ্রীত, চাহার।