KKR vs RR, LIVE IPL 2020 LIVE Score Updates: রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের ক্ষীণ আশা জিইয়ে রাখল কলকাতা
এখন দিল্লি বনাম বেঙ্গালুরু ও মুম্বই বনাম হায়দরাবাদের ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে কলকাতা আদৌ প্লে-অফে যাবে কি না ...!!
দুবাই: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দুবাইতে রাজস্থান রয়্যালসকে ৬০ রানে হারিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। একইসঙ্গে জিইয়ে রাখল প্লে-অফে যাওয়ার একটা ক্ষীণ আশাও। সেক্ষেত্রে অন্য দলের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে মর্গ্যান-বাহিনীদর ভাগ্য।
এদিন কলকাতার রাখা ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানেই আটকে যায় স্মিথ-বাহিনীর ঘোড়া। রাজস্থানের হয়ে কিছুটা বলার মতো লড়াই চালিয়েছেন জেসন বাটলার (২২ বলে ৩৫)। বাকি কেউ-ই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ৬ ব্যাটসম্যান দুই-অঙ্কের ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কলকাতা গোটা ম্যাচে ব্যাটে-বলে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিল।
বল হাতে কলকাতার হয়ে সবচেয়ে সফল প্যাট কামিন্স। ৩৪ রানে ৪ উইকেট দখল করেন তিনি। শিবম মাভি ও বরুণ চক্রবর্তী নেন ২টি করে উইকেট। নাগারকোটি নেন একটি।
এর আগে প্রথম ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯১ রান তোলে কলকাতা। ফের একবার কেকেআর শিবিরের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওয়েন মর্গ্যান। ৩৫ বলে ৬৮ রানের অধিনায়োকোচিত ইনিংসের সুবাদে কেকেআরকে লড়াকু স্কোর খাড়া করতে সাহায্য করলেন তিনি। ছটি ওভার বাউন্ডারি ও পাঁচটি বাউন্ডারি সাজানো মর্গ্যানের ইনিংসে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে ১৯১ রান তোলে কেকেআর।
ভাল শুরু করলেও তেওয়াতিয়ার ঘূর্ণিতে মাঝপথে বেসামাল হল কলকাতা শিবির। প্রথম ওভারেই নীতীশ রাণাকে (০) হারালেও ছন্দে ইনিংস এগোনো শুরু করেছিলেন শুভমান গিল ও রাহুল ত্রিপাঠি। ৭২ রানের পার্টনারশিপ জোড়েন তারা। তবে কেকেআর ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমে গিল (৩৬) ও তারপর সুনীল নারাইনকে (০) ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন চলতি মরশুমের রাজস্থান শিবিরের সেরা প্রাপ্তি তেওয়াতিয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই দীনেশ কার্তিকেও (০) স্পিনজালে বেঁধে ফেলেন তেওয়াতিয়া (৩/২৫)। মাঝে সেট হয়ে যাওয়া ত্রিপাঠি (৩৯) শ্রেয়স গোপালের শিকার হন।
ইনিংসের মাঝপথে মাত্র ২৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে হাঁসফাঁস অবস্থায় পড়া কেকেআর ইনিংসের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান। দলে ফেরা আন্দ্রে রাসেল (২৫) কিছুটা সঙ্গ দিলেও কার্তিক ত্যাগীর অফ স্টাম্পের বাইরের দিকের বল মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে বসেন। আইপিএল নিলামের সবথেকে বেশি দর পাওয়া কামিন্স পরিস্থিতি বুঝে ইয়োন মর্গ্যানকে বেশি করে বল খেলার সুযোগ দেওয়ার কাজটা চালাতে থাকেন। শেষপর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে দলকে বড় স্কোর খাড়া করাতে সাহায্য করেন মর্গ্যান।