Rinku Singh: চার্টার্ড ফ্লাইটে শাহরুখের সঙ্গে সফর! রিঙ্কুর মন খারাপও কাটিয়ে দিয়েছিলেন বাজিগর
Rinku Singh Shah Rukh Khan: গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর যশ দয়ালের শেষ ওভারে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে ম্য়াচ জেতানো ভারতীয় ক্রিকেটে রূপকথা হয়ে রয়েছে।

লখনউ: ভারতীয় দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)-এর তারকা ব্যাটার তিনি। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর যশ দয়ালের শেষ ওভারে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কেকেআরকে ম্য়াচ জেতানো ভারতীয় ক্রিকেটে রূপকথা হয়ে রয়েছে। সেই রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) শাহরুখ খানের সঙ্গে জড়িত একটি ঘটনা শোনালেন। তিনি জানালেন, কীভাবে বলিউডের সুপারস্টার এবং তাঁর দলের মালিক শাহরুখের সঙ্গে তাঁর চার্টার্ড ফ্লাইটে সফর করার সুযোগ হয়েছিল।
এই ঘটনাটি সেই সময়কার, যখন রিঙ্কুকে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) টি-২০ বিশ্বকাপের মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি রিজার্ভ খেলোয়াড়দের তালিকায় ছিলেন এবং ভিসা সংক্রান্ত ফর্মালিটির জন্য মুম্বই যেতে হয়েছিল।
প্রথম দিকে রিঙ্কু রাজি হতে চাননি
রিঙ্কু প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন এবং অনেকবার চার্টার্ড ফ্লাইটে উঠতে রাজি হতে চাননি। তাঁর মনে প্রশ্ন ছিল, তিনি কিংগ খানের সঙ্গে কীভাবে সফর করবেন, কী কথা বলবেন, এবং নিজেকে কীভাবে সামলাবেন।
একটি সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু বলেছেন, “সেই সময় আমি মূল দলে নির্বাচিত হইনি, শুধু স্ট্যান্ডবাই তালিকায় ছিলাম। দল চলে গিয়েছিল এবং আমাকে ভিসার জন্য যেতে হয়েছিল। স্যর (শাহরুখ) -এরও পরের দিন যাওয়ার কথা ছিল। আমার ফ্লাইট বুক করা হয়ে গিয়েছিল এবং আমি একা যাওয়ার কথা ছিলাম। কিন্তু কোনওভাবে স্যর বা পূজা ম্যাডাম জানতে পারেন এবং তাঁরা বলেন যে, আমার স্যরের সঙ্গেই যাওয়া উচিত। আমি খুব নার্ভাস ছিলাম যে স্যরের সঙ্গে একা কীভাবে যাব, কী কথা বলব। অনেকবার রাজি হতে চাইনি।”
বিশেষ মুহূর্ত ছিল: রিঙ্কু
রিঙ্কু প্রথমে শাহরুখের সঙ্গে চার্টার্ড ফ্লাইটে যে রাজি হতে চাইছিলেন না। কিন্তু যখন শাহরুখ নিজে তাঁকে সঙ্গে যাওয়ার জন্য বললেন, তখন রিঙ্কু রাজি না হয়ে পারেননি। রিঙ্কু বলেছেন, “পরে গাড়িতে কথা হল। স্যর আমাকে খুব উৎসাহ দিচ্ছিলেন। সেই মরশুমে আমার পারফরম্যান্সও তেমন ভাল ছিল না, তাই তিনি আমাকে বোঝাচ্ছিলেন এবং উৎসাহিত করছিলেন। আমার জন্য সেই মুহূর্তটা খুব বিশেষ ছিল, কারণ প্রথমবার আমি চার্টার্ড ফ্লাইটে সফর করলাম, তাও স্যরের সঙ্গে। সেই দু’ঘণ্টা আমার জীবনের জন্য খুবই স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল। সত্যি কথা বলতে কী, সেই অভিজ্ঞতাটা অবিশ্বাস্য ছিল।”




















