(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
T20 World Cup: মাঠে নামার আগেই নার্ভাস হয়ে পড়লেন বিরাট, এরপর কী হল?
Virat Kohli: বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারদের কাছে ত্রাস যিনি, তিনিই নাকি রীতিমত নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন একটা সময়। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণা করলেন বিরাট।
মুম্বই: বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। মাঠে নামলেই একের পর এক রেকর্ড গড়া-ভাঙা অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন। ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটের ইতিহাসে তো এই মুহূর্তে সর্বাধিক শতরানের মালিকও তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) পরই সর্বাধিক সেঞ্চুরি ঝুলিতে। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান। এতকিছু পড়ার পর নিঃসন্দেহে সবাই বুঝতেই পারছেন কার কথা হচ্ছে। বিরাট কোহলি। বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারদের কাছে ত্রাস যিনি, তিনিই নাকি রীতিমত নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন একটা সময়। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণা করলেন বিরাট।
প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে নেমে নাকি চাপে পড়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরলেন কিং কোহলি। তিনি বলেন, ''২০১১ বিশ্বকাপ আমার কেরিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। বংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকায় ম্য়াচ ছিল। মিথ্যে বলব না, আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম সেদিন। একটা অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। বিশ্বকাপের মত মত। রোমাঞ্চও ছিল। দলের সবচেয়ে কম বয়সি প্লেয়ার ছিলাম আমি। দেশের সব খ্যাতনামা প্লেয়ারদের সঙ্গে খেলতে নেমেছিলাম।''
কিন্তু সেই ম্য়াচেই বীরেন্দ্র সহবাগের সঙ্গে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ডানহাতি ব্যাটার। আর একমাত্র ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপ অভিষেকেই শতরান হাঁকিয়েছিলেন বিরাট সেদিন। ৮৩ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যার জন্য ভারতীয় দলও ৩৭০ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল ভারত। ম্য়াচে ৮৭ রানে জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া।
বিরাট বলছেন, ''আমার জন্য কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম সেদিনের ম্য়াচের আগে। কোনও কিছুই হাল্কাভাবে নিতে চাইনি। নিজে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'' আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাটের ব্যাটের ওপর নির্ভর করবে ভারতীয় দলের পারফরম্য়ান্স। আইপিএলে অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক বিরাট। ভারত ২৬৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে। ১২,৪১০ পয়েন্ট রয়েছে এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে ২৫৭ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। ২৫৪ পয়েন্ট রয়েছে বাটলারদের ঝুলিতে। চার নম্বর স্থানে উঠে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ২৫২ পয়েন্ট। এরপরের তিনটি স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড (২৫০), পাকিস্তান (২৪৪) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৪) পয়েন্ট। ২০১২, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পয়েন্ট টেবিলে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আগে রয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা।