Jeev Milkha Singh on social Media: "একটি মিলিটারি ভ্যানে জওয়ানরা এসে বাবাকে স্যালুট করলেন, এটা ভুলতে পারব না"
কোভিড সংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে কিংবদন্তি মিলখা সিংহর। কিছুদিন আগে মা-কেও হারিয়েছেন গল্ফার তথা মিলখা-পুত্র জীব। পর পর বাবা-মাকে হারানোর পর ট্যুইটারে বাবাকে নিয়ে গর্বের কথা লিখলেন জীব।
নয়া দিল্লি : কিংবদন্তির পুত্র। তিনি নিজেও বড় গল্ফার। পর পর বাবা-মাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন জীব মিলখা সিংহ। এবার ট্যুইটারে বাবা মিলখা সিংহকে নিয়ে নিজের গর্বের কথা লিখলেন জীব।
ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, বাবার শেষকৃত্যের কথা সেরকম মনে করতে পারছি না। কিন্তু, একটা দৃশ্য আমি কখনই ভুলব না। একটি মিলিটারি ভ্যান এল। গাড়ি থেকে জওয়ানরা নামলেন। তার পর বাবাকে স্যালুট জানালেন। ভারতীয় সেনার উপর চির কৃতজ্ঞ মিলখা পরিবার। তাদের আমি আরও একবার ধন্যবাদ জানাতে চাই।
অপর একটি ট্যুইটে জীব লিখেছেন, বাবা-মাকে হারিয়েছি। সবথেকে আবেগের বিষয় হচ্ছে, মানুষের কাছ থেকে আমরা এমন হাজার হাজার মেসেজ পাচ্ছি যাতে মনে হচ্ছে, তাঁরা যেন নিজেদের কাউকে হারিয়েছেন। এই সময়ে পাশে দাঁড়ানোয় বাবার সব ফ্যান ও শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ।
করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলখা সিংহ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ৩০ মে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি মিলখা সিংহর। স্ত্রীর প্রয়াণের এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনিও প্রয়াত হলেন। চণ্ডীগড়ের পিজিআই হাসপাতালে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৪ বারের এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়নের প্রয়াণে সারা দেশে শোকের ছায়া। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮-য় কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হন মিলখা সিংহ। ১৯৬০-এ রোম অলিম্পিক্সে চতুর্থ হন তিনি। রোম অলিম্পিকে ৪০০ মিটার দৌড়ে অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেকেন্ডের ভগ্নাংশে পিছিয়ে গিয়ে ব্রোঞ্জ পদক হাতছাড়া হয় তাঁর।
গত ১৩ জুন করোনায় মৃত্যু হয় মিলখা সিংহর স্ত্রী তথা ভারতীয় মহিলা ভলিবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক নির্মল মিলখা সিংহর। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।