Ranji Trophy: রঞ্জিতে উত্তরপ্রদেশ নেতৃত্বে কুলদীপ, মুম্বইয়ের পৃথ্বী, স্কোয়াডে অর্জুন তেন্ডুলকর
Ranji Trophy: দলের সহ অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে করণ শর্মাকে (karan sharma)। দলে রয়েছেন শিভম মাভি ও প্রিয়ম গর্গ। মুম্বই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে পৃথ্বী শ। স্কোয়াডে অর্জুন তেন্ডুলকর।
লখনউ: রঞ্জিতে উত্তরপ্রদেশ দলের নেতৃত্বভাব সামলাবেন কুলদীপ যাদব। দলের সহ অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে করণ শর্মাকে। দলে রয়েছেন শিভম মাভি ও প্রিয়ম গর্গ। উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ''উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সিলেকশন কমিটির পক্ষ থেকে রঞ্জি ট্রফির জন্য দল নির্বাচিত করা হল।'' যদি জাতীয় দলের হয়ে না ব্যস্ত থাকেন, তবে উত্তরপ্রদেশের জার্সিতে খেলতে দেখা যেতে পারে ভুবনেশ্বর কুমারকেও। অন্যদিকে মুম্বইয়ের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে পৃথ্বী শ। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে অর্জুন তেন্ডুলকরকে।
কিছুদিন আগেই কেরল তাঁদের স্কোয়াডে ফিরিয়ে এনেছে এস শ্রীসন্থকে। আসন্ন রঞ্জির জন্য কেরলের ২৪ সদস্যের দলে সুযোগ পেলেন ৩৮ বছরের এই প্রাক্তন ভারতীয় বোলার। প্রায় ৯ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলের ফর্ম্যাটে ফিরে এলেন শ্রীসন্থ। ২০১৩ সালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষবার রঞ্জিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন এই ডানহাতি পেসার।
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে নাম জড়ায় শ্রীসন্থের। এরপরই নির্বাসনের কোপ এসে পড়ে তাঁর ওপর। ট্যুইটারে একটি পোস্ট করে শ্রীসন্থ লিখেছেন, ''প্রায় ৯ বছর পর আমার সুন্দর রাজ্য কেরলের হয়ে রঞ্জি খেলার সুযোগ পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।''
২০১৩ সালের আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় শ্রীসন্ত ও তাঁর দুই সতীর্থ অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চবন স্পট-ফিক্সিং করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এছাড়া মুম্বইয়ে গ্রেফতার হন বিন্দু দারা সিংহ ও চেন্নাই সুপার কিংসর অন্যতম শীর্ষকর্তা গুরুনাথ ময়াপ্পান। ২০১৫ সালে অবশ্য শ্রীসন্তকে রেহাই দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। যদিও তার আগেই এই পেসারকে আজীবন নির্বাসিত করার কথা ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই। ২০১৮ সালে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা ঘোষণা করে কেরল হাইকোর্ট। গত বছর আবার সেই রায় বাতিল করে বিসিসিআই-এর পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শাস্তি কমাতে বলে আদালত। এরপরেই আজীবন নির্বাসনের বদলে সাত বছর নির্বাসনের কথা ঘোষণা করে বিসিসিআই। ২০১৩ সালের মে মাসের পরে আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি শ্রীসন্ত। ফলে এতদিন পরে তাঁর পক্ষে আর রঞ্জি ট্রফি খেলা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় ছিল।