আরও পড়ুন: ৪৩ বছরের ট্রফির খরা কাটল, ইউরোপা কনফারেন্স লিগ জিতল ওয়েস্ট হ্যাম
তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টের বিচারপতি হরিশ কুমার বলেন, 'সন্তান কখনওই মায়ের একার সম্পত্তি নয়। বাবা হিসাবে যখন ধবন খারাপ নন, তখন কেন তাঁর সঙ্গে সন্তানকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না?'
আদালত এও জানায় যে, ধবন বাচ্চার স্থায়ী দায়িত্ব চাইছেন না। কয়েকদিনের জন্য এখানে আনতে চাইছেন এবং তাতে মায়ের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত এও দেখেছে যে, ২০২০ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে ধবনের পরিবার আর বাচ্চাটির সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। যদি পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেশি কেউ নাও আসেন, তবু ধবন ও তাঁর পরিবারকে সন্তানকে দেখা থেকে বঞ্চিত করা চলে না।
ধবন ও আয়েশার বিচ্ছেদ ও সন্তানের কাস্টডি নিয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া - দুই দেশেই মামলা চলছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ছেলেকে দেখতে প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছেন ধবন এবং বাবা হিসাবে যথেষ্ট স্নেহশীল তিনি, যা আয়েশাও মেনে নিয়েছেন। পারিবারিক অশান্তির দোষ ধবন ও আয়েশা, দুজনের ওপরই প্রযোজ্য বলেও জানানো হয়েছে। আদালত বলেছে, 'অশান্তি তখনই হয় যখন একজন প্রশ্ন তোলে আর অপরজন তা গ্রাহ্য না করে।' পাশাপাশি বলা হয়, 'সন্তানকে না পাঠানোর মতো কোনও আশঙ্কার যৌক্তিকতা আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি আয়েশা। কেন অস্ট্রেলিয়ার আদালতে ধবনের ওপর নজর রাখার জন্য মামলা করেছেন আয়েশা! আইন নিজের হাতে তুলে নিলে ধবন তো ভারতে আইনি সাহায্য়ই নিতেন না।'