Tokyo 2020: জয়ের আনন্দে রিংয়েই লাফ, গোড়ালি মচকে অলিম্পিক্স শেষ আইরিশ বক্সারের
অলিম্পিক্স অভিযান যে এরকম দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবেননি এডেন ওয়ালশ।
টোকিও: অলিম্পিক্স অভিযান যে এরকম দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে, ঘুণাক্ষরেও হয়তো ভাবেননি এডেন ওয়ালশ।
কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের আনন্দে রিংয়েই এমন লাফালেন যে, গোড়ালি মচকে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে গেলেন। ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আইরিশ বক্সারের সামনে সেমিফাইনাল জিতে সোনা বা রুপো জেতারও সুযোগ ছিল। কিন্তু উৎসবের আতিশয্যে সেই সুযোগ হাতছাড়া হল ওয়ালশের।
কেন? রবিবার পুরুষদের ওয়েল্টারওয়েট বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে মরিশাসের মারভান ক্লেয়ারের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওয়ালশ। সেই ম্যাচে তিনি জিতেও যান। বক্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালে ওঠা মানেই ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত। দুই সেমিফাইনালে পরাজিত হতে হলেও দুই বক্সার দুই ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে ফিরতে পারেন। ফাইনাল ম্যাচ হয় সোনা ও রুপোর পদকের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য।
ওয়ালশ কোয়ার্টার ফাইনালে জিততেই তাঁর ব্রোঞ্জ জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সেই আনন্দে রিংয়েই লাফ দেন তিনি। তবে তাতে তাঁর পা মচকে যায়। গোড়ালির চোট এতটাই গুরুতর যে, অলিম্পিক্স থেকেই ছিটকে গিয়েছেন ওয়ালশ। হুইলচেয়ারে করে স্টেডিয়াম ছাড়তে হয় তাঁকে। ফলে তাঁর আর সেমিফাইনালে নামা হচ্ছে না। সোনা বা রুপোর পদক প্রাপ্তির সুযোগও তাই শেষ।
অলিম্পিক্সে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলেও মন জিতে নিলেন সতীশ কুমার। রক্তাক্ত অবস্থাতেও নাছোড় লড়াই করার জন্য।
হেভিওয়েট বক্সিংয়ের (৯১ কেজি বিভাগ) কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সতীশের রিংয়ে নামা নিয়েই প্রবল সংশয় ছিল। কারণ, শেষ ষোলোর ম্য়াচে ডান চোখের ঠিক ওপরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ভারতীয় বক্সার। উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল শেষ ষোলোর ম্যাচের পরই। সেই ম্যাচ জিতলেও, প্রতিপক্ষের মারে মুখ ফেটেছিল ভারতের হেভিওয়েট বক্সার সতীশ কুমারের। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, সাত-সাতটি সেলাই পড়ে তাঁর ক্ষতস্থানে।
ভারতীয় সমর্থকেরা অবশ্য তাঁর সুস্থতার পাশাপাশি আরও একটি কারণে উদ্বেগে ছিলেন। কারণ, ভারতীয় বক্সিং সংস্থার শীর্ষকর্তা জানিয়েছিলেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালে সতীশের নামা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের অনুমতির ওপর। যদি চিকিৎসকেরা তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দেন, তবেই শেষ আটের ম্যাচে নামতে পারবেন ভারতীয় বক্সার।
শেষ পর্যন্ত উদ্বেগ মুক্তি ঘটে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন যে, কোয়ার্টার ফাইনালে নামতে পারবেন সতীশ। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।