Paris Olympics 2024: অভিষেক অলিম্পিক্সেই দুরন্ত শুরু লক্ষ্যর, প্রথম ম্য়াচেই স্ট্রেট গেমে হারালেন প্রতিদ্বন্দ্বীকে
Lakshya Sen: প্রথম ম্য়াচে লক্ষ্যর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৩৭ বছরের কেভিন কর্ডন। তারুণ্যের সামনে প্রথম গেমের শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন গুয়াটেমালার ৩৭ বছরের শাটলার।
প্যারিস: অলিম্পিক্সের মঞ্চে (Paris Olympics 2024) প্রথমবার খেলতে নেমেছেন। আর নেমেই নিজের জাত চেনাচ্ছেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। কেন তাঁকে পদক জয়ের অন্য়তম দাবিদার মনে করা হচ্ছে, তা প্রথম ম্য়াচেই বুঝিয়ে দিলেন উত্তরাখণ্ডের এই তরুণ শাটলার। প্রথম ম্য়াচেই স্ট্রেট গেমে জয় ছিনিয়ে নিলেন ২২ বছরের তরুণ। পুরুষদের সিঙ্গলস বিভাগে লক্ষ্য জয় ছিনিয়ে নিলেন ২১-৮, ২২-২০ ব্যবধানে। মাত্র ৪২ মিনিটেই ম্য়াচ জিতে যান লক্ষ্য। ২৯ তারিখ দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্য়াচে খেলতে নামবেন লক্ষ্য সেন।
এদিন প্রথম ম্য়াচে লক্ষ্যর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ৩৭ বছরের কেভিন কর্ডন। তারুণ্যের সামনে প্রথম গেমের শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন গুয়াটেমালার ৩৭ বছরের শাটলার। লক্ষ্য একপ্রকার দাঁড়াতেই দেননি কেভিনকে প্রথম গেমে। ২১-৮ ব্য়বধানে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেন বার্মিংহ্য়াম কমনওয়েলথে সোনাজয়ী লক্ষ্য। দ্বিতীয় গেমে অবশ্য কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেভিন। একসময়ে ১৬-২০ ব্যবধানে পিছিয়েও ছিলেন ভারতের তরুণ শাটলার। কিন্তু সেখান থেকেই দুরন্ত কামব্যাক করেন লক্ষ্য। ২২-২০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন উত্তরাখণ্ডের তরুণ শাটলার।
এদিকে, মহিলাদের ১০ এয়ার পিস্তল রাইফেলের যোগ্যতা অর্জন পর্বের রাউন্ডে তৃতীয় হয়ে ফাইনালে উঠেছেন ২২ বছরের এই তরুণী শ্যুটার। সেরা আটজন ফাইনালে রবিবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে নামবেন। ভারতীয় সময় বিকেল ৩.৩০টায় ফাইনালে নামবেন মানু।
ফাইনালে ওঠার পথে মানু স্কোর করেছিলেন ৫৮০। তিনি তিন নম্বরে ছিলেন। প্রথম স্থানে শেষ করেছেন হাঙেরি ভেরোনিকা মেজর ও দ্বিতীয় স্থানে জিন ইয়ে ওহ। দুজনেই ৫৮২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছেন। ২৭ বার বুলস আই মারেন ভারতের মানু ভাকের। ভারতের আরেক মহিলা শ্যুটার রিদম সাঙ্গওয়ান ছিলেন যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৫৭৩ স্কোর করেছেন। তিনি প্রথম আটে জায়গা করে নিতে পারেননি।
দক্ষিণ কোরিয়া মার্চ পাস্টে এলে মাইকে প্রথমে ফরাসি ভাষায় ঘোষণা করা হয়, 'রিপাবলিকে পপুলাইরে দেমোক্রাতিকে দে কোরে।' পরে ইংরেজিতে তর্জমা করে বলা হয়, 'ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।' যা আদতে উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম! উত্তর কোরিয়াকে সরকারিভাবে বলা হয়, 'ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।' দক্ষিণ কোরিয়াকে বলা হয় 'রিপাবলিক অব কোরিয়া।' দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সিরিজের প্রথম ম্য়াচেই অর্ধশতরান সূর্যকুমারের, বড় রান বোর্ডে তোলার পথে ভারত