Paris Olympics: প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে নীতা আম্বানি..সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবন্যায় ভাসছেন মনু
Paris Olympics 2024: ২০১২ সালে গগন নারাং শেষবার শ্যুটিং অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে ভারতের জন্য পদক জিতেছিলেন। এবার মনু ১২ বছর পর ফের অলিম্পিক্সের মঞ্চে পদক জিতলেন।
প্যারিস: অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে শ্যুটিংয়ে প্রথম ভারতীয় মহিলা শ্যুটার হিসেবে পদক জিতেছেন। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে প্যারিসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। এরপরই দেশ জুড়ে শুভেচ্ছা বন্যায় ভাসছেন মনু। ভারতের মহিলা শ্যুটারকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ''প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের জন্য প্রথম পদক জেতার জন্য মনু ভাকেরকে অভিনন্দন। ব্রোঞ্জ পদকের জন্য অভিনন্দন। এই সাফল্যটি আরও বিশেষ কারণ তিনি ভারতের হয়ে শ্যুটিংয়ে পদক জয়ী প্রথম মহিলা হয়েছেন। একটি অবিশ্বাস্য অর্জন।''
মনু নিজেও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ''ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটা আপনার আশীর্বাদের ফল। আমি সমস্ত সমর্থন এবং উৎসাহের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা আমাদের জন্য অনেক কিছু।''
এছাড়াও মনুর সাফল্যে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স কমিটির মেম্বার নীতা আম্বানি। তিনি লিখেছেন, ''একটি অবিশ্বাস্য মুহূর্ত! আমাদের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা শুটার প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতের পদক তালিকার সূচনা করেছে। অভিনন্দন, মনু ভাকের! অলিম্পিক্সে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে জয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা এবং আমাদের সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় শুটার হিসেবে আপনি ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমি নিশ্চিত আপনার আজকের সাফল্য ভারত জুড়ে তরুণ ক্রীড়াবিদদের বড় স্বপ্ন দেখতে এবং তাদের সব কিছু দিতে অনুপ্রাণিত করবে। ভারতের পতাকা এইভাবে শীর্ষে রাখুন। গো ইন্ডিয়া গো, আমাদের সবাইকে গর্বিত কর!''
জন্ম হরিয়ানার ঝাজ্জরে। শ্যুটিং নয় বক্সিং আর কুস্তির জন্যই যে জায়গা বিখ্যাত। ছোটবেলায় কিন্তু টেনিস, বক্সিং আর স্কেটিংই ছিল ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ১৪ বছর বয়সে বদলে গেল সবকিছু। ভালবেসেই হাতে তুলে নেওয়া পিস্তল। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অনেক ছোট থেকেই সাফল্যের মুখ দেখা শুরু করে দিয়েছে। সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে সোনা জেতেন শ্যুটিং বিশ্বকাপে। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস ও ২০২২ এশিয়ান গেমসেও ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে জেতেন সোনা। টোকিও অলিম্পিক্স থেকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। সাফল্য এল প্যারিসে। যদিও মাত্র ০.১ পয়েন্টের জন্য রুপোর পদক হাতছাড়া হল মানুর। যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্ব থেকে ফাইনালে যে আটজন জায়গা করে নিয়েছিল। সেখানে তৃতীয় হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন মানু। ফাইনালেও শেষ করলেন তৃতীয় স্থানে থেকেই।
আরও পড়ুন: পারলেন না হমনপ্রীতরা, ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা