NCC Cricket: ঝুলনের সামনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আলিপুরদুয়ারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পূর্ব মেদিনীপুর
Cricket News: ফাইনাল ঠিক যেকরম হওয়া উচিত, সেরকমই হল। টানটান। পরতে পরতে নাটক। আর সেই ম্যাচে আলিপুরদুয়ার থান্ডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল পূর্ব মেদিনীপুর ড্রাগনস।
সিউড়ি: ফাইনাল ঠিক যেকরম হওয়া উচিত, সেরকমই হল। টানটান। পরতে পরতে নাটক। আর সেই ম্যাচে আলিপুরদুয়ার থান্ডার্সকে (Alipurduar Thunders) ৫ উইকেটে হারিয়ে দিল পূর্ব মেদিনীপুর ড্রাগনস (Purba Medinipur Dragons)। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হল এনসিসি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে (NCC Cricket)।
আইপিএলের ধাঁচে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। তাও আবার জেলায়। বীরভূমের সিউড়িতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা এক সময়ের আইসিসি প্রধান, প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার হাতে তৈরি ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবের পরিচালনায় আয়োজিত হয়েছিল যে টুর্নামেন্ট। ৬ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। কালিম্পং ফ্যালকনস, দার্জিলিং আনস্টপেবলস, আলিপুরদুয়ার থান্ডার্স, ঝাড়গ্রাম ফায়ারবোল্টস, পূর্ব মেদিনীপুর ড্রাগনস ও কম্বাইন্ড অ্যাভেঞ্জার্স - অংশ নিয়েছিল এই ছয় দল।
শনিবার ছিল ফাইনাল। মুখোমুখি হয়েছিল আলিপুরদুয়ার থান্ডার্স ও পূর্ব মেদিনীপুর ড্রাগনস। প্রথমে ব্যাট করে আলিপুরদুয়ার থান্ডার্স তুলেছিল ১৬২/৫। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যপূরণ করে পূর্ব মেদিনীপুর ড্রাগনস। ৫ উইকেট হারিয়ে। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন শুভ গুছাইত ও সৌম্যদীপ সামন্ত। ৪৬ বলে ৭১ রান করলেন শুভ। সৌম্যদীপ ২৪ বলে করেছেন ৪০ রান।
সিউড়ির এমজিআর স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে আলিপুরদুয়ারের অধিনায়ক ভরত নাগ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী প্রবীর সূত্রধর ও দিবাকর ছেত্রী ইনিংসের শুরুটা ভালই করেছিলেন। ওপেনিং পার্টনারশিপে ওঠে ৫৪ রান। দিবাকর ২১ রান করে ফিরলেও, সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন প্রবীর। ৪০ বলে ৫০ রান সম্পূর্ণ করেন তিনি। তবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সৌমিক শী-র বলে ফেরেন তিনি। ৪৭ বলে ৬৯ রান করে। যে ইনিংসে ছিল পাঁচটি বিশাল ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬২/৫ তোলে আলিপুরদুয়ার। ১৯ রানে ২ উইকেট সৌমিকের।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারালেও পূর্ব মেদিনীপুর ইনিংসের হাল ধরেন সৌম্যদীপ ও শুভ। তাঁদের ৪৩ বলে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচের রং পাল্টে দেয়।
ফাইনালে হাজির ছিলেন মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামী। তিনিই চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। ছিলেন বাংলার রঞ্জি জয়ী ক্রিকেটার ইন্দুভূষণ রায়, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অভিষেক ডালমিয়া ও সিএবি কর্তারা।
আরও পড়ুন: স্পেশ্যাল ম্যাচে সেঞ্চুরি মনোজের, কাঁধে চোট পেয়ে বাইরে রিয়াগ, ৭ পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাবে বাংলা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে