Praggnanandhaa: ম্যাচের আগের দিন মায়ের হাতের রান্না চাই-ই, কলকাতার মিষ্টি দই চেখে দেখতে চান প্রজ্ঞাননন্দ
ABP Exclusive: তাঁকে বলা হচ্ছে বিস্ময়-দাবাড়ু। বয়স মাত্র ১৮ বছর। অথচ প্রজ্ঞাননন্দ সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, বিশ্বসেরা হওয়ার মতো প্রতিভা তাঁর রয়েছে। আর সেই সফরে প্রজ্ঞাননন্দের ভরসা মায়ের হাতের রান্না।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আজ়েরবাইজ়ানের বাকুতে দাবা বিশ্বকাপ (Chess World Cup) চলাকালীন মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল কাহিনিটি। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের (Magnus Carlsen) বিরুদ্ধে ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করা ভারতীয় দাবাড়ুর মা নাগলক্ষ্মী নাকি ইনডাকশন ওভেন ও রাইস কুকার নিয়ে সফরসঙ্গী হন। ছেলেকে পছন্দের পদ রেঁধে দেবেন বলে।
সত্যি?
এবিপি লাইভের প্রশ্নটা শুনে হাসছিলেন আর প্রজ্ঞাননন্দ (Praggnanandhaa)। বিশ্বনাথন আনন্দের ২১ বছর পর প্রথম কোনও ভারতীয় হিসাবে যিনি বিশ্ব পর্যায়ের কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললেন। বললেন, 'মা আমার বিরাট সাপোর্ট সিস্টেম। বড় টুর্নামেন্টে পাশে কেউ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মা আমাকে মানসিকভাবেও সামলে রাখে। সব কিছুর খেয়াল রাখেন। যে কোনও ক্ষেত্রেই বাবা-মায়ের সমর্থন জরুরি। টুর্নামেন্ট খেলার সময় ডায়েটও সামলায় মা-ই।'
তাঁকে বলা হচ্ছে বিস্ময়-দাবাড়ু। বয়স মাত্র ১৮ বছর। অথচ প্রজ্ঞাননন্দ সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, বিশ্বসেরা হওয়ার মতো প্রতিভা তাঁর রয়েছে। আর সেই সফরে প্রজ্ঞাননন্দের ভরসা মায়ের হাতের রান্না। বলছিলেন, 'আমি বাড়ির খাবার পছন্দ করি। ম্যাচের আগে ভারতীয় পদ খাই। মা রান্না করে দেয়।' যোগ করলেন, 'আমি খুব যে খাদ্যরসিক তা নয়। সাদামাটা খাবারই পছন্দ করি। আর ম্যাচের আগের দিন ডাল-ভাত বা খিচুড়ি। মা রেঁধে দেয়। যাতে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা যায়। সেই জন্যই ওভেন বা রাইস কুকার নিয়ে যাওয়া। আমি যেখানেই যাই, মা সঙ্গে যায়।'
বাইরের খাবার খুব একটা পছন্দ করেন না। বিশেষ করে বড় টুর্নামেন্টের সময় তো নয়ই। দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ কার্লসেনকে হজমের সমস্যায় ভুগতে হয়েছিল। তবে নাগলক্ষ্মীর রান্না করা হাল্কা, কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার প্রজ্ঞাননন্দকে সেরকম কোনও সমস্যায় পড়তে দেয়নি।
চেন্নাইয়ের দাবাড়ু কলকাতায় এসেছেন টাটা স্টিল দাবা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে। প্রজ্ঞাননন্দের পছন্দ দক্ষিণ ভারতের খাবার। তবে কলকাতায় এসে বাঙালি খাবারও চেখে দেখতে চান। বলছেন, 'মিষ্টি দই চেখে দেখার ইচ্ছে রয়েছে। রসগোল্লাও খেতে চাই।' যোগ করলেন, 'এর আগেও কলকাতায় এসেছি। ২০১৮ সালেও এখানে খেলে গিয়েছি। কলকাতাতেই প্রথম আন্তর্জাতিক মানের দাবার স্বাদ পেয়েছিলাম। এখানে এসে ভাল লাগে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন