Ranji Trophy: ইডেনে সেঞ্চুরি সুদীপের, শেষ দিন আর ৯ উইকেট তুলতে পারলেই ম্যাচ বাংলার
Sudip Gharami Century: শুক্রবার আর ৯ উইকেট তুলতে পারলেই হিমাচল প্রদেশকে সরাসরি হারাবেন মনোজ তিওয়ারিরা। এখনও ৩৯২ রানে এগিয়ে বাংলা।
কলকাতা: রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) পরপর দুই ম্যাচে সরাসরি জয়ের হাতছানি বাংলার। শুক্রবার আর ৯ উইকেট তুলতে পারলেই হিমাচল প্রদেশকে সরাসরি হারাবেন মনোজ তিওয়ারিরা। এখনও ৩৯২ রানে এগিয়ে বাংলা। শুক্রবারই ম্যাচের শেষ দিন। বাংলার বোলারদের ওপরই এখন নির্ভর করছে ৬ পয়েন্টের স্বপ্ন।
বুধবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯/১ স্কোরে খেলা শেষ করেছিল বাংলা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১/৫ তুলে ডিক্লেয়ার করে বাংলা। যে ইনিংসের মধ্যমণি সুদীপ ঘরামি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ বলে ১০১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩ বছরের ডানহাতি ব্যাটারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন মনোজ তিওয়ারি। অভিমন্যু ঈশ্বরণ জাতীয় টেস্ট দলে ডাক পাওয়ায় যিনি এই মরসুমে বাংলা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর ব্যাট হাতে রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। বৃহস্পতিবারও ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করলেন মনোজ। ৮৩ বলে ৫০ রান করলেন মনোজ। চতুর্থ উইকেটে সুদীপের সঙ্গে ১০৬ রান যোগ করেন মনোজ। তাঁদের পার্টনারশিপের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় যে, আড়াইশো রান পেরিয়ে যাবে বাংলা। পাবে বড় রানের লিডও। প্রথম ইনিংসের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৮ রান করেন। ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শাহবাজ আমেদ। কার্যত ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভঙ্গিতে খেলে ৭৪ ওভারে ২৯১/৫ তোলে বাংলা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাল্টা লড়াই করছে হিমাচল প্রদেশও। ইডেনের উইকেট তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ের পক্ষে সুবিধাজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পিচে শুরুটা ভাল করে হিমাচল প্রদেশ। তবে ৫৫ বলে ১৪ রান করে রান আউট হয়ে যান ওপেনার রাঘব ধবন। ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় হিমাচল প্রদেশ। দিনের শেষে তাদের স্কোর এক উইকেটে ৭৯ রান। ৬৬ বলে ৪৪ রান করে ক্রিজে আছেন প্রশান্ত চোপড়া। ৩০ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত অঙ্কিত কলসি।
৪৭২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হিমাচল প্রদেশ ম্যাচ বাঁচাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার। এখনও ৩৯২ রানে এগিয়ে বাংলা। বাংলা শিবির মনে করছে, শেষ দিন প্রতিপক্ষকে অল আউট করার মতো যথেষ্ট রানের পুঁজি রয়েছে তাদের হাতে।
দিনের খেলার শেষে সেঞ্চুরির নায়ক সুদীপ বলেছেন, 'দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে বোর্ডে দ্রুত রান যোগ করাটা ছিল দলগত পরিকল্পনা। আমি লক্ষ্মীদা (কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল) ও মনোজদার (অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওরা বলেছিল, নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলার স্বাধীনতা রয়েছে। প্রথম ইনিংসে বড় রান পাইনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোরের জন্য আমি মুখিয়ে ছিলাম।'
শেষ দিন বাংলার বোলাররা বাজিমাত করবেন, বিশ্বাস সুদীপ ঘরামির। বলেছেন, 'শুক্রবার সকালে দ্রুত কয়েকটা উইকেট ফেলে দিতে পারলেই ওরা চাপে পড়ে যাবে। আশা করছি ওদের অল আউট করে পুরো পয়েন্ট পাব।'
আরও পড়ুন: আর্জেন্তিনার বিশ্বজয় স্মরণীয় করে রাখতে আগ্রহী ব্রাজিলও, চাওয়া হল মেসির পায়ের ছাপ