‘টাইগাররা দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে শক্তিশালী, জোর টক্কর হবে’, মত ভিভিএস লক্ষ্মণের
নভেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ। শেষ ২৬ নভেম্বর।
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ বোর্ড ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার পরই কেটে গিয়েছে জট। সাকিব আল হাসানদের ভারত সফরে আসা নিয়ে আর কোনও আশঙ্কাই নেই। দীপাবলি মিটলেই সম্ভবত ভারতের উদ্দেশে রওনা দেবে বেঙ্গল টাইগাররা। সফর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। প্রথম ম্যাচ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। এরপর রাজকোট ও নাগপুরে বাকি ২টি টি-টোয়েন্টি খেলে সাকিবরা চলে আসবেন ইন্দৌরে। হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলে সফরের শেষ টেস্টের জন্য কলকাতায় আসবে তাঁরা। ইডেন টেস্ট খেলেই আবার দেশে ফিরে যাবে বাংলাদেশ। নভেম্বরের ৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ। শেষ ২৬ নভেম্বর। মোট ২৩ দিনের এই সফরে ভারতকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলবে বাংলাদেশ, এমনটাই মত ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ।
এক নজরে দেখে নিন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্কোয়াডতাঁর কথায়, বর্তমান সময়ের বাংলাদেশ দল এই সময়ের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের থেকে তুলনায় অনেক ভাল। বাংলাদেশ দলে এখন অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুরের মতো ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ দলে রয়েছেন। টি-টোয়েন্টি তো বটেই লাল বলের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও তাঁদের আছে। এদের মধ্যে কয়েকজন আবার পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে গোটা বিশ্বে লিগ খেলে বেরান। সুতরাং অভিজ্ঞতার দিক এঁরা বাকিদের থেকে এগিয়ে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারলেও মোর্তাজারা যে সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন, তা বুঝতে দেরি করেননি ভিভিএস। আর সেকারণেই তিনি বলছেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস আগামী ভারত বনাম বাংলাদেশ সিরিজ বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। বাংলাদেশ দল এই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের থেকে অনেক অভিজ্ঞ। তার ওপর অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার ভাল ফর্মেও আছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছে। তাদের কোনও রকমভাবেই হাল্কাভাবে নেওয়া উচিত হবে না।” টি-টোয়েন্টিতে ভাল লড়াই হবে বলেই আশাবাদী ভিভিএস।