Shoaib-Sania: বিয়ে ভাঙছে সানিয়া-শোয়েবের? সোশ্য়াল মিডিয়ায় কী বদলালেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার?
Sania And Shoiab on Social Media: সানিয়াও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শোয়েবর সঙ্গে ছবি মুছে দিয়েছেন। যদিও কিছুদিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের খবর পুরো ভুয়ো, এমনটাই জানিয়েছিলেন শোয়েব।
করাচি: দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এবার সেই জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোয়েব আখতার (Shoaib Akhter)। সানিয়া মির্জার সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক কি আদৌ ঠিকঠাক চলছে, তার উত্তর সরাসরি না জানা গেলেও ইনস্টাগ্রামে ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু বদল করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। নিজের ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে 'হাজব্যান্ড টু এ সুপারউইম্যান সানিয়া মির্জা' সরিয়ে দিলেন শোয়েব। মির্জা মালিক শো-তে ২ তারকাকে একসঙ্গে দেখে এসেছেন সমর্থকরা। কিন্তু আচমকা শোয়েবর ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে সানিয়ার নাম সরিয়ে দেওয়াতেই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। কেউ কেউ তো সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, ''শোয়েব ভাই সানিয়ার নাম বায়ো থেকে সরিয়ে দিয়েছেন, তার মানে তাঁদের সম্পর্ক শেষ প্রায়।'' অনেকেই লিখেছেন যে, ''ইন্দো-পাক প্রেমের কাহিনি এখানেই শেষ''।
সানিয়াও তাঁর ইনস্টাগ্রামে শোয়েবর সঙ্গে ছবি মুছে দিয়েছেন। যদিও কিছুদিন আগে বিবাহবিচ্ছেদের খবর পুরো ভুয়ো, এমনটাই জানিয়েছিলেন শোয়েব। অনেকেই মনে করছিল যে এটা একপ্রকার পাবলিসিটি স্টান্ট হতে পারে। কিন্তু বায়ো থেকে স্ত্রী-র পরিচয় মুছে দেওয়ার শোয়েবের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতীয় টেনিস সুন্দরী সানিয়া ও প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব। দম্পতির এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর উইম্বলডনের পরই পাকাপাকি টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন সানিয়া মির্জা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মহিলাদের ডাবলসের প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নেওয়ার পর অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন হায়দরাবাদের টেনিস আইকন। সানিয়া বলেছেন, ''এই মরসুমই আমার কেরিয়ারের শেষ বছর। এরপর আমি অবসর নেব। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিষয়টি এত সহজ নয় যে আমি আর খেলব না। আমার চোট সারাতে অনেক বেশি সময় লাগছে। আমার তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে এত জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে ওকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। সেটা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমার শরীর আর আগের মতো চলছে না। আজ আমার হাঁটুতে যন্ত্রণা হচ্ছিল। আমি বলছি না সেই কারণেই আমরা হেরে গিয়েছি, তবে আমার বয়স বাড়ছে। ফলে চোট সারাতে সময় লাগছে। তাছাড়া আর সেভাবে মোটিভেশন পাচ্ছি না। আগের মতো প্রাণশক্তিও আর নেই। আমি বরাবরই বলে এসেছি, যতদিন খেলা উপভোগ করব, ততদিনই খেলে যাব। এখন মনে হচ্ছে আর সেভাবে খেলা উপভোগ করতে পারছি না।''