Gavaskar On Kohli: অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ধোনি বাদে কেউ মেসেজ করেননি, আক্ষেপ কোহলির, কড়া জবাব দিলেন গাওস্কর
Sunil Gavaskar: প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর মনে করিয়ে দেন যে ১৯৮৫ সালে তিনি ভারতের নেতৃত্ব ছাড়ার পরেও কিন্তু তাঁকে কেউ বিশেষ কোনও বার্তা বা কিছু পাঠায়নি।
নয়াদিল্লি: হালে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ফর্ম নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। প্রায় তিন বছর হতে চলল বিরাটের ব্যাট থেকে আসেনি একটিও শতরান। চলতি এশিয়া কাপে তাঁর ফর্মের উন্নতি হয়েছে বটে। দুইটি অর্ধশতরানও এসেছে তাঁর ব্য়াট থেকে। তবে শতরানের অপেক্ষা এখনও অব্যাহত। বিরাটের খারপ ফর্ম নিয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞ থেকে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। তবো গোটাটাই সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তাঁর সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ব্যতীত কেউ সরাসরি কথাই বলেননি বলে সদ্য আক্ষেপ করেন বিরাট।
কোহলির আক্ষেপ
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে বিরাট সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমি যখন টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াই, তখন একমাত্র মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আমাকে মেসেজ করেছিলেন। আমার ফোন নম্বর তো অনেকের কাছেই রয়েছে। কিন্তু কেউই আমাকে মেসেজ করেননি। তবে তাঁরাই আবার টিভির সামনে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি মনে করি যদি কারও আমাকে কিছু বলার থাকে, তাহলে তো সামনাসামনি বলতে পারতেন তাঁরা। এভাবে টিভির সামনে এসে পরামর্শ দেওয়াটা আমি ঠিক মনে করি না।'
স্পষ্টবাক গাওস্কর
বিরাটের এই মন্তব্য নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর (Sunil Gavaskar)। তিনি বিরাটকে স্পষ্টভাবে বিষয়টি ব্যাখা করার কথা বলে জানান, 'ও যদি ওর সঙ্গে খেলা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে কথাগুলি বলে থাকে, তাহলে আমরা সকলেই জানি সেই সময়ের কোন খেলোয়াড়রা টিভির পর্দায় আসেন। ওর তো সেইসব খেলোয়াড়দের নাম উল্লেখ করা উচিত ছিল। আর ও তাদের থেকে কী মেসেজই বা আশা করছে। ওতো অধিনায়কত্ব ছেড়েই দিয়েছে, তাহলে ওর কীসের জন্য উৎসাহের প্রয়োজন? ওই অধ্যায়টা (অধিনায়কত্বের) তো শেষ হয়ে গিয়েছে।'
গাওস্করের মতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এমনই চাপের বোঝা অনেকটা কমে যায় এবং নিজের খেলার ওপরে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা সম্ভব হয়। 'এখন একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসাবেই ও খেলছে। তাই নিজের খেলার ওপরই মনোনিবেশ করা উচিত। অধিনায়ক থাকলে তো সতীর্থদের বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করতে হয়। অধিনায়কত্বের অধ্যায় শেষ হয়ে গেল নিজের খেলার ওপরই বেশি করে গুরুত্ব আরোপ করতে হয়।' মত গাওস্করের। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মনে করিয়ে দেন যে ১৯৮৫ সালে তিনি ভারতের নেতৃত্ব ছাড়ার পরেও কিন্তু তাঁকে কেউ বিশেষ কোনও বার্তা বা কিছু পাঠায়নি।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জাডেজার পর এবার আবেশ খানেরও এশিয়া কাপ সফর শেষ?