(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Gavaskar on Warne: ওয়ার্ন বিশ্বের সেরা স্পিনার মানি না, গাওস্করের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক
Shane Warne Demise: ভারতীয় স্পিনার ও মুথাইয়া মুরলীধরনকে ওয়ার্নের চেয়ে অনেক এগিয়ে রেখেছেন গাওস্কর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
মুম্বই: তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। মাত্র ৫২ বছরেই প্রয়াত হয়েছেন শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। যাঁকে অনেকেই বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্পিনার বলছেন। যদিও সেই বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না আরেক কিংবদন্তি, সুনীল গাওস্কর (Sunil Gavaskar)। যিনি বলছেন, ওয়ার্ন মোটেও বিশ্বের সেরা স্পিনার ছিলেন না। ভারতের বিরুদ্ধে বেশ গড়পড়তা রেকর্ড। ভারতীয় স্পিনার ও মুথাইয়া মুরলীধরনকে অনেক এগিয়ে রেখেছেন গাওস্কর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
গাওস্কর বলেছেন, 'আমি মানি না যে ও বিশ্বের সেরা স্পিনার ছিল। ভারতীয় স্পিনাররা ও মুথাইয়া মুরলীধরন ওর চেয়ে ভাল স্পিনার। ভারতের বিরুদ্ধে ওর রেকর্ড দেখুন। খুব সাধারণ। পাঁচ উইকেট একবারই। নাগপুরে সেই ম্যাচেও জাহির খান ব্যাট না চালালে হতো না। স্পিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে গড়পড়তা রেকর্ড থাকার জন্যই আমি ওকে বিশ্বের সেরা মানতে পারব না।'
যদিও নেটিজেনরা গাওস্করের সেই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট। একজন লিখেছেন, সচিনেরও তো গ্লেন ম্যাকগ্রার বিরুদ্ধে সাধারণ রেকর্ড, তাহলে কি সচিনকে নিয়েও একই কথা বলবেন গাওস্কর। কেউ আবার আক্রকমণাত্মক সুরে বলেছেন, 'গাওস্কর নিজে ছিলেন স্বার্থপর ক্রিকেটার। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়'। আবার কারও বক্তব্য, ওয়ার্ন মারা যাওয়ার পরই এই মন্তব্য করে ঠিক করেননি গাওস্কর।
সব মিলিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।
শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) মৃত্যুর মুহূর্তেও থাকল ক্রিকেট। তাইল্যান্ডের রিসর্টে শুক্রবার যখন আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওয়ার্ন, তখনও টেলিভিশনে চলছিল ক্রিকেট। অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ দেখছিলেন কিংবদন্তি। তবে তিনি সেই সময় মদ্যপান করে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার। বরং খোশমেজাজে খেলা দেখছিলেন। রাতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ডিনার সারতে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল।
জানা গিয়েছে, বন্ধু অ্যান্ড্রু নেওফিটৌ তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখেন। তারপর প্রায় ২০ মিনিট ধরে সিপিআর করেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। আর সাড়া দেননি ওয়ার্ন।
তাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন ওয়ার্ন। সেখান থেকেই তাঁর ইংল্যান্ডে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করার জন্য। কিন্তু সব কাজ রইল বাকি। চলে গেলেন কিংবদন্তি।