এক্সপ্লোর
Advertisement
১০০ সেঞ্চুরির দোরগড়ায় সচিনকে আউট করে আম্পায়ারের সঙ্গে তিনিও খুনের হুমকি পেয়েছিলেন,জানালেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ব্রেসনেন
সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ব্যাটিং কিংবদন্তীর জনপ্রিয়তা রয়েছে সারা বিশ্বজুড়েই। একটা সময় এই সচিনকে আউট করায় খুনের হুমকি পেতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার টিম ব্রেসনেনকে।
লন্ডন: সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন ব্যাটিং কিংবদন্তীর জনপ্রিয়তা রয়েছে সারা বিশ্বজুড়েই। একটা সময় এই সচিনকে আউট করায় খুনের হুমকি পেতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার টিম ব্রেসনেনকে। একই হুমকি পেতে হয়েছিল ওই ম্যাচের অজি আম্পায়ার রড টাকারকেও। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১-র ভারত বনাম ইংল্যান্ডের চার টেস্টের সিরিজের সময়।
ওই সময় দীর্ঘদিন ধরে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৯৯ তম সেঞ্চুরিতেই আটকেছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। অনুরাগীরা সাগ্রহে তাঁর ১০০ তম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন। ওভালে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সেঞ্চুরির দোরগড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সচিন। সচিন তাঁর কেরিয়ারের শততম সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ৯০-এর ঘরে তিনি আউট হয়ে যান। সিরিজে ০-৩ পিছিয়েছিল ভারত। সেরকম ফর্মেও দেখা যাচ্ছিল না সচিনকে। প্রথম তিনটি টেস্টে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল একটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি। ওভাল টেস্টে তিন অঙ্কের রানের দিকে তিনি এগোচ্ছেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি যখন ৯১ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন ব্রেসনেনের একটি ডেলিভারি তাঁর প্যাডে আছড়ে পড়ে। আউটের জোরাল আবেদন করেন ব্রেসনেন ও তাঁর সহ খেলোয়াড়রা। সেই আবেদনে সাড়া দেন রড টাকার। যদিও বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে যাচ্ছিল বলে মনে হয়েছিল।
এই সময় যেহেতু বিসিসিআই ডিআরএসের পক্ষপাতী ছিল না, সেহেতু সচিনের হাতে কোনও বিকল্পই ছিল না।
ব্রেসনেন বলেছেন, সচিন তখন তাঁর ১০০ তম শতরানের দোরগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। ওই সময় কোনও রেফারেল ছিল না। কারণ, বিসিসিআই, তা পছন্দ করত না।
প্রাক্তন ইংরেজ অলরাউন্ডার বলেছেন, ওভালে ছিল সিরিজের শেষ টেস্ট। ওই সম্ভবত লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল।অজি আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। সচিন তখন ৮০ বেশি রান (৯১)-এ ক্রিজে ছিল। নিশ্চিতভাবেই সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিল। আমরা সিরিজ জিতে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থানে উঠে আসি।
এর পরেই শুরু হয় সেই হুমকির পর্ব। লোকজনের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ব্রেসনেন ও টাকারকে। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, অজি আম্পায়ারকে পুলিশি সুরক্ষা নিতে হয়েছিল।
ব্রেসনেন বলেছেন, আমরা দুজনেই খুনের হুমকি পেয়েছিলাম। আমি ও আম্পায়ার। আমি ট্যুইটারে আর টাকারকে তাঁর বাড়িতে চিঠি লিখে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেইসব চিঠিতে লেখা ছিল, তাঁকে আউট দিলে কী করে? বলটা তো লেগের বাইরে যাচ্ছিল। কয়েকমাস পর আমার সঙ্গে ওর দেখা হয়। তখন আমাকে টাকার বলেছিল, আমি নিরাপত্তারক্ষী পেয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ওর চারপাশে থাকত পুলিশের সুরক্ষা।
খেলার (Sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement