শতরান হ্যান্ডসকোম্বের, অ্যাশটন টার্নারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া
মোহালি: মোহালিতে চতুর্থ একদিনের ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে রেকর্ড ৩৫৯ রান তাড়া করে জয় অস্ট্রেলিয়ার। পিটার হ্যান্ডসকম্বের শতরানের দিনেও অসিদের জয়ের নায়ক দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ খেলতে নামা অ্যাশটন টার্নার । ৪৩ বলে বিধ্বংসী ৮৪ রান করে সিরিজ ২-২ করে দেন টার্নার।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান করল ভারতীয় দল। রোহিত শর্মা (৯৫) ও শিখর ধবনের (১৪৩) ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ১৯৩ রান। এটাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান। রোহিত অল্পের জন্য শতরান হারালেও, ধবন দুরন্ত শতরান করেন। ঋষভ পন্থ করেন ৩৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ৭০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ কোনও রান না করেই ক্রিজে ফিরে যান। শন মার্শ করেন ৬ রান।কিন্তু, এখান থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরান উসমান খোয়াজা ও পিটার হ্যান্ডসকোম্ব। তৃতীয় উইকেটে এই দুজন ১৯২ রান যোগ করেন। ৯৯ বলে ৯১ রান করেন খোয়াজা। মেরেছেন ৭টি চার। শতরান সম্পূর্ণ করেন হ্যান্ডসকোম্ব। ১০৫ বলে করা তাঁর ১১৭ রানের ইনিংসটি সাজোনা ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
হ্যান্ডসকোম্ব ও খোয়াজার তৈরি করা ভিতের ওপর জয় নিশ্চিত করেন তরুণ অ্যাশটন টার্নার। ততক্ষণ পর্যন্ত ম্যাচে ভারসাম্য ছিল। কিন্তু, টার্নার এসে ম্যাচের চাকা অজিদের দিকে একাই ঘুরিয়ে দেন। দিনের শেষে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এর জন্য তিনি মাত্র ৪৩ বল খেলেন। তাঁর এই বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৬টি ছয়। কার্যত ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন তিনি। অ্যাশটন-ধমাকার দৌলতে ৬ উইকেট খুইয়ে ১৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফল ছিলেন বুমরাহ। ৬৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন তিনি। ভারতীয় স্পিনাররা এদিন বেধড়ক মার খান। তিন স্পিনার মিলে ২৫ ওভারে দেন ১৮৮ রান। এই জয়ের ফলে পাঁচ-ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে ভারতীয় দলে চারটি বদল হয়। ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার আগেই জানিয়েছিলেন, সিরিজের শেষ দু’টি ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ খেলেছেন তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ। মহম্মদ শামির বদলে দলে আসেন ভুবনেশ্বর কুমার। রবীন্দ্র জাডেজার বদলে খেলার সুযোগ পান যুজবেন্দ্র চাহল। অম্বাতি রায়াডুর বদলে দলে আসেন লোকেশ রাহুল।
অস্ট্রেলিয়া দলেও একাধিক বদল হয়। গত ম্যাচে আঙুলে চোট পাওয়া মার্কাস স্টোইনিসের বদলে সুযোগ পান অ্যাসটন টার্নার। অফস্পিনার নাথান লিওনের বদলে দলে আসেন বাঁ হাতি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফ।