Anil Kumble: চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধেও কেন বল করেছিলেন? নিজেই খোলসা করলেন অনিল কুম্বলে
IND vs WI: একদমই ঠিকই ধরেছেন। ২০০২ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধেই বল করতে নেমেছিলেন প্রাক্তন এই তারকা লেগস্পিনার।
মুম্বই: ভেঙে গিয়েছিল চোয়াল। আর তা নিয়েই ব্যান্ডেজ বেঁধে মাঠে নেমে বল করেছিলেন। অনিল কুম্বলের ছবিটাই চোখের সামনে ভেসে আসছে তো? একদমই ঠিকই ধরেছেন। ২০০২ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধেই বল করতে নেমেছিলেন প্রাক্তন এই তারকা লেগস্পিনার। সেই ম্য়াচে লারাকে প্যাভিলিয়নের রাস্তাও দেখিয়েছিলেন কুম্বল। কিন্তু কেন এমন চোট নিয়ে বল করেছিলেন কুম্বলে?
সেই স্মৃতি রোমন্থন করে কুম্বলে বলেন, ''ভাঙা চোয়াল নিয়ে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরি, সেইসময় আমার স্ত্রী চেতনাকে ফোন করি। তাঁকে জানাই বেঙ্গালোরে আমি আসছি। একটা সার্জারি করতে হবে। তুমি একটু ব্যবস্থা করে রেখো। পরমুহূর্তেই বলি, এখন ফোন রাখছি। আমাকে বল করতে যেতে হবে। সেইসময় আমার স্ত্রী চেতনা ভেবেছিলেন আমি তাঁর সাথে মজা করছি।''
তিনি আরও বলেন, ''আমি যখন ড্রেসিংরুমে আসি, তখন সচিন বোলিং করছিলেন। ব্যাটার হিসেবে ছিলেন সম্ভবত ওয়েভেল হাইন্ডস। কেন জানি না মনে হচ্ছিল আমি বোলিং করে যদি ২-৩ টে উইকেট তুলে নিতে পারি, দিনের শেষে যদি অল আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাহলে ম্যাচ জেতার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। ফিজিও অ্যান্ড্রু লিপাসকে বলি, আমাকে এমনভাবে তৈরি করো যাতে আমি আজকের দিনের ম্যাচের অবশিষ্ট সময়ে খেলতে পারি। ভারতগামী ফ্লাইটে ওঠার সময় যেন মনে এতটুকু শান্তি থাকে যে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।''
উল্লেখ্য, সেই ম্য়াচে মরভিন ডিলনের বাউন্সার ভেঙে দিয়েছিল অনিল কুম্বলের চোয়াল। ভারতের হয়ে টেস্টে সর্বাধিক উইকেট শিকারি কুম্বলে তাঁর স্ত্রী চেতনাকে জানিয়েছিলেন যে ব্যান্ডেজ নিয়েই মাঠে নেমে বল করবেন তিনি। কিন্তু কুম্বলের কথা নাকি বিশ্বাসই করতে চাইছিলেন না তাঁর স্ত্রী। কুম্বলে বলছেন, ''চেতনাকে ফোনে জানিয়েছিলাম, আমাকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। দেশে ফিরছি। তুমি বেঙ্গালুরুতে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করো। তবে দেশে ফেরার আগে কয়েক ওভার বল করব। আমার কথা বিশ্বাস করেনি চেতনা। ভেবেছিল মজা করছি। আমার শেষ কথায় তেমন পাত্তা দেয়নি। পরে সত্যিই আমাকে বল করতে দেখে অবাক হয়েছিল।''
বিদেশিদের মধ্যে অরবিন্দ ডি সিলভা, ব্রায়ান লারাকে বিশ্বের সেরা ব্যাটার বলেছেন। কুম্বলে বলছিলেন, ''ডি সিলভাকে বল করা খুব কঠিন ছিল। আর এক জনের কথা বলব, লারা। প্রতিটি বলে অন্তত তিন রকম শট মারার ক্ষমতা ছিল ওর। কী করবে বোঝা যেত না। আপনি হয়তো এক রকম ভেবে বল করলেন, লারা সম্পূর্ণ অন্য রকম একটা শট মেরে দিল। এগিয়ে এসে মারার চেষ্টা করছে দেখে হয়তো ভাববেন গতিতে পরাস্ত করবেন। ও বলের গতি ব্যবহার করে এগিয়ে এসেও লেট কাট মেরে চার রান তুলে নেবে। এতটাই দক্ষ ব্যাটার ছিল লারা।''