Twitter: ট্যুইটারে নিষিদ্ধ হল কু-এর বিশেষ অ্যাকাউন্ট, রোষের মুখে ইলন মাস্ক
Koo: কু- এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা Mayank Bidawatka একাধিক ট্যুইট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
Twitter: ট্যুইটারে নিষিদ্ধ হয়েছে কু (Koo)। বলা ভাল ভারতীয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের (Microblogging Account) অ্যাকাউন্ট @kooeminence ট্যুইটার মাধ্যম থেকে ব্যান করা হয়েছে। ট্যুইটারের (Twitter Ban) সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কু। গত শুক্রবার ট্যুইটার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই অ্যাকাউন্ট। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে ট্যুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের তুলোধনা করেছেন কু- এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। পসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ট্যুইটারে চলছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার হিড়িক। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা সাংবাদিক যাঁরা বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই কু- এর অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে ট্যুইটারে। ইলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বারবার 'ফ্রিডম অফ স্পিচ' অর্থাৎ বাক-স্বাধীনতার কথা বলেছেন। অথচ এভাবে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ট্যুইটারের নয়া মালিক মাস্ক।
কু- এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা Mayank Bidawatka একাধিক ট্যুইট করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ট্যুইটারের সবচেয়ে ভাল বিকল্প হল কু। লক্ষ লক্ষ ইউইজারের জন্যই আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে কু।' এর পাশাপাশি ইলন মাস্কের নাম না করেই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। Mayank Bidawatka ট্যুইটে লিখেছেন, 'আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আরও অনেক কিছুই রয়েছে। Mastodon অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। এমনকি নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে Mastodon লিঙ্কও ট্যুইটার মাধ্যমে অনুমোদিত হচ্ছে না। এর পাশাপাশি কু- এর eminence হ্যান্ডেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ট্যুইটার থেকে। আর কত নিয়ন্ত্রণ এই ব্যক্তির প্রয়োজন?' এখানে ব্যক্তি বলতে ইলন মাস্ককেই বোঝানো হয়েছে।
ভারতের কু এবং জার্মানির Mastodon ট্যুইটারের সবচেয়ে ভাল বিকল্প। ইউনাইটেড নেশন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও এই দুই মাধ্যমে ইলন মাস্কের সমালোচনা করেছেন। মূলত একাধিক সাংবাদিকের ট্যুইটার হ্যান্ডেল ব্যান করার ব্যাপারেই ইলন মাস্কের সমালোচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছর অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তারপর থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। প্রথমেই একধাক্কায় ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। এর পাশাপাশি হাজারও পরিবর্তন এসেছে নিয়ম কানুনে। বারবার ইলন মাস্ক দাবি করেছেন ট্যুইটারকে তিনি 'ফ্রিডম অফ স্পিচ'- এর মাধ্যম হিসেবে বানাতে চান। কিন্তু তার পাশাপাশি একের পর এক স্বেচ্ছাচারী ব্যবহারও করে চলেছেন তিনি। আর সেই জন্যই ট্যুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের উপর উষ্মা প্রকাশ করছে প্রায় গোটা দুনিয়া।
আরও পড়ুন- ভারতে আসছে টেকনো সংস্থার নতুন ৫জি ফোন, দেখে নিন এই ফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন