Tripura News: উত্তপ্ত ত্রিপুরা! হামলা-পাল্টা হামলায় সংঘর্ষে জড়াল কংগ্রেস-বিজেপি
Congress Bhawan Gets Attacked: রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত গোমতী জেলার উদয়পুর বাগমা। গত কাল রাতে বাগমা কংগ্রেস ভবনে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির দিকে।
প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা: রাজনৈতিক সংঘর্ষে (political turmoil) উত্তপ্ত গোমতী জেলার উদয়পুর বাগমা। গত কাল রাতে বাগমা কংগ্রেস ভবনে (congress bhawan) আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা (miscreants)। কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপির (BJP) দিকে। পাল্টা হামলা চলে বিজেপির দফতরেও (office)। হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাগমা এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩১ অক্টোবর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কংগ্রেস ভবনের সামনে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয় হয়েছিল। গত কাল রাতে দুষ্কৃতীরা সেই মঞ্চ-সহ কংগ্রেস ভবনে হামলা চালায়। হাতশিবিরের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলার খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা হামলা চলে বিজেপি-অফিসে। এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি...
গত জুনে দক্ষিণ-পূর্বের এই রাজ্যে যে চার আসনে উপনির্বাচন হয় তাতে গেরুয়া ঝড়ের দাপট ধরা পড়লেও আগরতলা কেন্দ্রটি ঝুলিতে পুরেছিল কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মন। সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরা সুদীপের সেই জয় ভোটের দুরন্ত ফলাফলের মধ্যেও অস্বস্তি তৈরি করে গেরুয়া শিবিরে। ১৭,৪৩১টি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন সুদীপ। উপনির্বাচনের এই ফলাফলের পর থেকেই তেতে ওঠে আগরতলা। কংগ্রেস জিততেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আগরতলায় কংগ্রেসের অফিসে হামলা চলে সেই দিনই। হামলার অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিন্হা। ঘটনা প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, "একটা আসনে জিতে ভাবখানা এমন করছে যেন রাজ্য জয় করে নিয়েছে। লজ্জা থাকা উচিত। জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে কংগ্রেসের।" প্রসঙ্গত, একই উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তৃণমূলের। তা নিয়ে জোড়াফুল শিবির বিশেষ করে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ উড়ে আসে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, “নরেন্দ্র মোদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখছেন। একসঙ্গে স্বপ্ন দেখছেন, নাকি মোদির থেকে শিখে দেখছেন, তা জানি না। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও নতুন। রাজনীতিতে অনেক কিছু শেখা বাকি ওঁর। না কংগ্রেস মুক্ত ত্রিপুরার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে, না কংগ্রেস মুক্ত বাংলা, না কংগ্রেস মুক্ত ভারত।' অশান্তির পারদ নামেনি।
আরও পড়ুন:জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত, কোথায়, কখন দেখবেন ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচ?