Tripura Election: বিধানসভা ভোটে রক্তাক্ত ত্রিপুরা, ধারালো অস্ত্র-লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ
Tripura Assembly Poll: বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। যদিও ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির।
প্রসেনজিৎ সাহা এবং সন্দীপ সরকার, ত্রিপুরা: এবার ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের দিনেও এড়ানো গেল না অশান্তি। ত্রিপুরার বক্সনগরে সিপিএমের অঞ্চল সম্পাদকের উপর হামলার অভিযোগ। সিপিএম নেতার উপরে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ । বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। যদিও ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির। নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ।
অন্যদিকে, পুরনো আগরতলার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাথপাড়ায় ভোটারদের বাধা, লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। নাথপাড়া এলাকার একটি বুথের ঘটনা। অন্যদিকে, শান্তিরবাজার বিধানসভার কালাছড়াতেও গন্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন দুই সিপিএম কর্মী। শান্তিরবাজার নিয়ে গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বামেরা। দুটি ক্ষেত্রেই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
গোমতী জেলার কাঁকড়াবন-শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
আরও পড়ুন, 'প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে আদিবাসীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি', 'আদি মহোৎসব'-এ মন্তব্য মোদির
ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর ও দুর্লভপুরে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন ভোটাররা। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যায়। গন্ডগোলের দায় বাম-কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এদিকে, শতাধিক অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। জানালেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয় । ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন দলের মোট ২৫৯ জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার ভোটার। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। এর মধ্যে স্পর্শকাতর ও অতিস্পর্শকাতর মিলিয়ে বুথের রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০টি। ভোট নিরাপত্তায় নামানো হয়েছে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২ মার্চ ভোটের ফল ঘোষণা।
২০১৮-র নির্বাচনে ত্রিপুরায় চমকপ্রদ ফল করে ২ দশকের বাম শাসনকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু, প্রবল অন্তর্বিরোধের জেরে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদলে, লড়াইয়ে নেমেছে তারা। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে, দীর্ঘ ৫ দশকের প্রতিপক্ষ, বাম ও কংগ্রেস, এবারই প্রথম জোট করে ভোটে লড়ছে।