আনন্দ লাইভ: জেলায় জেলায় তৃণমূলের প্রার্থী 'অসন্তোষ', 'মমতা-অনুমোদিত তালিকাই চূড়ান্ত', স্পষ্ট করলেন পার্থ | Bangla News
মমতার (Mamata Banerjee) নির্দেশ উপেক্ষা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রথম তালিকাতেই মনোনয়ন। বজবজের পর এবার ডায়মন্ড হারবারে প্রথম তালিকাতেই মনোনয়ন। এসডিও অফিসে গিয়ে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূলের ১৬জন প্রার্থী। ‘সুব্রত বক্সীর সইটাই যে আসল, সেটা কে বলেছে?’, তাই প্রথম তালিকা অনুযায়ী মনোনয়ন, দাবি বিদায়ী পুরপ্রধানের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অনুমোদিত তালিকাই চূড়ান্ত। প্রার্থী নিয়ে ফের বার্তা পার্থর (Partha Chatterjee)। প্রথম তালিকাতেই প্রার্থীরা মনোনয়ন দিলে, নেত্রীর (Mamata Banerjee) নির্দেশকেই তো চ্যালেঞ্জ, কটাক্ষ বিরোধীদের।
নির্দল হয়ে পুরভোটে দাঁড়ালে পেটানোর হুঁশিয়ারি! বিতর্কে কোচবিহারের (Cooch Behar) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ও শহর ব্লক সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তৃণমূলের কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়ালে ব্যবস্থা নেবে দল। সতর্কবার্তা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতিরও। আর এই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি।
পুরভোটের আগে, প্রার্থীতালিকা নিয়ে অসন্তোষের আঁচ ছড়িয়েছে বিজেপির (BJP) অন্দরেও। খড়গপুরে দলের প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেললেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেত্রী। এলাকাবাসীর উদ্দেশে দিলেন হুমকিও। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিতে দেরি করেনি তৃণমূল।
পুরভোটের মুখে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে নজিরবিহীন ছবি। কেউ টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন। কেউ আবার ২৪ ঘণ্টার মাথায় দল বদল করে ফের পুরনো দলে ফিরে প্রচার করলেন নিজের ওয়ার্ডের প্রার্থীর জন্য। এনিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিলেন গোবরডাঙার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান। এতদিন দল করলাম, টিকিট পেলাম না, জেলা সভানেত্রীর কাছে ক্ষোভপ্রকাশ সুভাষ দত্তর। নেতৃত্ব প্রার্থী ঠিক করেছে, দাবি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করলেন, তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য জুথিকা রায় বাসুনিয়া। তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
চার দশক পর এই প্রথম। কাঁথি পুরসভার (Kanthi Municipal Election) ভোটে দেখা গেল না অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিনিধিকে। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাই সৌমেন্দুর (Soumendu Adhikari)। আর এই নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।