(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Filmstar : সত্যজিত্ রায় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন হাঙ্গেরির পরিচালক ইস্তভান জাবো ও হলিউডের পরিচালক মার্টিন স্করসেসি | Bangla News
গানের সুরে রহস্যের সঙ্কেত। গানে গানেই অন্ধকারে আলোর খোঁজ। ড্যানি বন্দ্যোপাধায়ের সহকারী সুব্রত শর্মার রহস্য-সফরকে সুরে বাঁধলেন নীল দত্ত । অঞ্জন দত্তর ওয়েব সিরিজ ‘ড্যানি ডিটেক্টিভ আইএনসি’-র থিম সং প্রকাশ্যে এল।
ওয়েব সিরিজ ‘ড্যানি ডিটেক্টিভ আইএনসি’-তে ড্যানির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরিচালক অঞ্জন দত্ত নিজেই। তার সহকারী সুব্রত শর্মার ভূমিকায় রয়েছেন সুপ্রভাত দাস। এছাড়াও সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী, সমদর্শী দত্ত, সুদীপা বসু, বরুণ চন্দ। রহস্যের আবহ গাঢ় করতেই সিরিজটিতে থিম মিউজিকের সংযোজন।
বলিউডে স্পোর্টস ড্রামার তালিকায় নতুন সংযোজন। ‘রশ্মি রকেট’। জি ফাইভে মুক্তি পেল তাপসী পান্নু অভিনীত এই ছবিটি। রশ্মি গুজরাতের ভূজের বাসিন্দা। অত্যন্ত সাদামাটা পরিবারের একটি মেয়ে। তাঁর চোখে একটাই স্বপ্ন, নিজের গতিতে সবাইকে অতিক্রম করে যাওয়া। দৌড়নোর সময় তাঁর গতি সবার চোখ কপালে তুলে দেয়। তার পা কি মাটিতে পড়ে? নাকি হাওয়ায় ভর করে এমন অবিশ্বাস্য গতিতে দৌড়োয় রশ্মি? রশ্মির এই অবিশ্বাস্য গতি দেখেই সবাই তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে দেয় একটা শব্দ। রকেট। রশ্মি রকেট।
স্বপ্ন পূরণের পথ কখনই মসৃণ হয় না। রশ্মির ক্ষেত্রেও হয়নি। মাঠের বাইরে অসম একটা লড়াই অপেক্ষা করছিল তাঁর জন্য। রশ্মিই হোক বা কোনি, ফাইট করে যাওয়াই যেন তাঁদের নিয়তি। আর এই লড়াইয়ে তাঁদের পাশে কখনও থাকে ক্ষিদ্দা, কখনও থাকে ইশিতের মত আইনজীবী। রশ্মি রকেটে শুধু মাত্র স্পোর্টস ড্রামার সমীকরণে কাহিনিকে বাঁধেননি পরিচালক আকর্ষ খুরানা। তাতে জুড়ে দিয়েছেন ভারতের মহিলা ক্রীড়াবিদদের এক বাস্তব সমস্যার ছবিও। ভূজের গ্রাম থেকে ছুটতে ছুটতে বদলাতে থাকে রশ্মির পায়ের নীচের মাটি। রেসিং ট্র্যাকে রশ্মিকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে তুলে ধরেন ক্যাপ্টেন গগন ঠাকুর। এই গগন ঠাকুরের সঙ্গেই রশ্মির ভালবাসার সম্পর্কের সমীকরণ তৈরি হয়েছে ছবিতে। রশ্মি অ্যাথলেটিক্সের প্রথাগত তালিম কোনওদিনই পায়নি। তাঁর প্রতিভা ছিল সহজাত। কিন্তু তালিম ছাড়াই রশ্মি যে গতি আয়ত্ত করেছিল, তা তাবড় দৌড়বীরদের ঈর্ষার কারণ হতেই পারে। গগন ঠাকুর বোঝেন, রশ্মিকে আরও বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর প্রযোজন প্রথাগত তালিম। গগনের কথাতেই রশ্মি অ্যাকাডেমিতে নাম লেখায়। আর এরপরই গ্রামের মাঠের সঙ্গে রেসিং ট্র্যাকের তফাৎটাও বুঝতে পারে খুব তাড়াতাড়িই। দৌড়তে গিয়ে মাঠে চোট পাওয়াটা গুরুতর কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু রেসিং ট্র্যাকে যে অদৃশ্য কাঁটাগুলো ছড়ানো থাকে, তা পায়ে বিঁধলে যে ব্যপারটা গুরুতর হয়ে ওঠে, তা বুঝে যায় রশ্মি। রশ্মির উড়ান রুখতে তার ডানা ছেঁটে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দিলীপ চোপড়া।
জেন্ডার টেস্টের পরই চোখের নিমেষে ওলট-পালট হয়ে যায় রশ্মির দুনিয়া। এক লহমায় বদলে যায় তার চারপাশ। প্রশ্ন ওঠে, রশ্মির নারীসত্ত্বা নিয়ে। মেয়েদের হস্টেলে পুলিশ আসে। ছেলে হওয়ার অভিযোগে দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় রশ্মিকে। তারপর শুরু হয় রশ্মির নতুন লড়াই। রশ্মির কেরিয়ার যখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে, তখন তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান আইনজীবী ইশিত মেহতা। রেসিং ট্র্যাক থেকে এরপর কাহিনি গড়ায় আদালত কক্ষের দিকে। আইনি লড়াইয়ের পথে হেঁটে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পায় রশ্মি। কিন্তু এই জয়ে আদৌ কতটা জয়ের স্বাদ থাকে, সে প্রশ্ন রয়েই যায়। শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরিমাপের যে পরীক্ষার
মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিটদের, তার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন রেখে যায় ‘রশ্মি রকেট।’
মুক্তির অপেক্ষায় ‘অল্প হলেও সত্যি’। চার চরিত্র, চারজনের ভালবাসার গল্প শোনাবে এই ছবি। প্রকাশ্যে এল ছবিটির ট্রেলার।
সিনেমার শ্যুটিংয়ে হলিউড অভিনেতা অ্যালেক বল্ডউইনের প্রপ বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু সিনেমাটোগ্রাফারের। সত্যজিত্ রায় লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন হাঙ্গেরির পরিচালক ইস্তভান জাবো ও হলিউডের পরিচালক মার্টিন স্করসেসি।
রশ্মির ভূমিকায় তাপসী পান্নুর অভিনয় সাবলীল। খেলোয়াড়সুলভ শরীরী ভাষা তাপসী অসাধারণ দক্ষতায় তুলে ধরেছেন এই ছবিতে। কিন্তু চিত্রনাট্যে এক্কেবারে অনাবশ্যক কিছু গানের দৃশ্য রশ্মির চরিত্রটিকেই যেন ধাক্কা দেয়। অমিত ত্রিবেদীর সঙ্গীত পরিচালনায় গানগুলি যে কাহিনি সূত্রেই ছবিতে জায়গা করে নিয়েছে, এমনটা একেবারেই নয়। বলিউডি ফর্মুলার এহেন অন্ধ ব্যবহার এই কাহিনির ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ছিল কি? রশ্মির পক্ষে যা একেবারেই বেমানান, তেমনই কিছু দৃশ্য অতিরঞ্জিত করেছে ছবিটিকে।
গগন ঠাকুরের চরিত্রে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াংশু পেনুইলি। তাঁর অভিনয়ও নজর কাড়বে দর্শকদের। আইনজীবী ইশিতের চরিত্রে বলিষ্ঠ অভিনয় করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিয়া পাঠক অভিনয় করেছেন রশ্মির মায়ের ভূমিকায়। সুপ্রিয়া পিলগাঁওকর রয়েছেন বিচারকের চরিত্রে। রশ্মির গতিপথে যিনি কাঁটা বিছিয়ে দেন, সেই দিলীপ চোপড়ার ভূমিকায় বরুণ বডোলার অভিনয়ের প্রশংসাও করতেই হয়।
লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে ধারালো এক কাহিনি বুনতে শুরু করেও শেষের দিকে ধার হারিয়েছেন পরিচালক আকর্ষ খুরানা। ক্রীড়াজগতে মহিলাদের অধিকারের লড়াই নিয়ে যেভাবে গলা তুলে পারত ছবিটি, চড়াই-উৎরাই ভেঙে রক্তাক্ত পায়ে যে ভাবে পৌঁছোতে পারত রাজপথে, সে পথে না গিয়ে সহজ বলিউডি চমকের রাস্তায় হেঁটে ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছেছে ‘রশ্মি রকেট’।
অন্যদিকে তথ্য সংক্রান্ত জটিলতাও দর্শকের ধৈর্যচ্যূতি ঘটাতে পারে। রশ্মির সফর বাস্তবের ছায়া থেকে ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছে ছবিটিতে। বিনোদনের চেনা মশলা না ছড়ালে ছবিটি নতুন কাহিনির গুণেই আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারত।