Corona Inspirational Story : ডাক্তারি পরীক্ষা পাশ করেই করোনা-যুদ্ধে অদম্য লড়াই, হার-না-মানা কাহিনি নবযোদ্ধাদের
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে ...
মহামারীর সময় যখন ঘরে বসে বুক দুরুদুরু সকলের, তখন যুদ্ধক্ষেত্রে নেমেছেন এঁরা। ভয়ঙ্কর শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন রুখে। হাসপাতালে স্টেথো গলায় পৌঁছে গেছেন মুমুর্ষু করোনা রোগীদের কাছে। পিপিই পরে ওয়ার্ডে কাটিয়েছেন দিন-রাত। সারা দেশ-রাজ্যে যখন সার সার চিতা জ্বলছে, যখন অক্সিজেন নিয়ে চলছে হাহাকার, ভেসে আসছে শুধু স্বজনহারাদের কান্না, ঠিক সেই সময়ই জীবনকে বাজি রেখেই যুদ্ধে নেমেছেন এঁরা । সদ্য ডাক্তারি জীবনে প্রবেশ করেই। কখনও ১২-১৪ ঘণ্টা সরাসরি করোনা রোগীদের সেবায় কাটিয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার নিজের করোনা হওয়ার খবরও দেননি দূরে থাকা মা-বাবাকে। মাসের পর মাস কাটিয়েছেন বাড়ি থেকে বহু দূরে। এঁরা জুনিয়র ডাক্তার। নামে জুনিয়র হলেও কর্মকাণ্ডে এঁরা পিছিয়ে নেই কারও থেকেই । বরং হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে চলছে এদের অবিরাম লড়াই।
এই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে চিকিত্সকদের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। SUPPORT PEOPLE IN COVID তেমনই এক সংগঠন। অসংখ্য ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিক্যাল ছাত্র-ছাত্রীরা এই ছাতার তলায় কাজ করেছেন। ডা. কৌশিক চাকী ও ডা.দীপ্তেন্দ্র সরকার প্রথম থেকে ছিলেন এই প্রচেষ্টায়। অন্যদিকে বিরামহীনভাবে কাজ করেছে ড. অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক।
২৪ ঘণ্টা বেজেই চলেছে মোবাইল ফোন। ওয়ার্ড ভিজিটের সময়টুকু বাদ দিয়ে, কে কখন ফোন ধরবেন, সে অনুসারে তৈরি করে ফেলেছেন তালিকা। সেই অনুযায়ী সাড়া দিয়েছেন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। প্রথম-দ্বিতীয় ঢেউ সামলে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলার জন্যও তৈরি এঁরা। রাজ্যজুড়ে কখনও "SUPPORT PEOPLE IN COVID" এর ছাতার তলায়, কখনও আবার কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের হয়ে কাজ করছেন শয়ে শয়ে ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টুডেন্টরা। অন্ধকারতম সময়েও আশার আলোর মতোই এঁরা আছেন, থাকবেন সকলের তরে।