এক্সপ্লোর
Advertisement
RSS-এর সদস্য এবং সেখান থেকে প্রচারক বা বিস্তারক হয়ে ওঠার রাস্তা কীরকম?
সরাসরি কখনও রাজনীতিতে না এলেও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS-এর পরিচিতি বিজেপির মতাদর্শ নির্ধারক হিসেবে। আবার তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে। কীভাবে কাজ করে এই সংগঠন? RSS-এর সদস্য এবং সেখান থেকে প্রচারক বা বিস্তারক হয়ে ওঠার রাস্তা কীরকম?
২০১৯-এর লোকসভা ভোট থেকে এরাজ্যে চমকপ্রদ উত্থান ঘটেছে বিজেপি-র। এবার একুশের বিধানসভা ভোটে জিতে বঙ্গদখলের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী তারা।
অনেকে বলেন, বাংলায় বিজেপির এই উত্থান হঠাৎ নজরে এসেছে ঠিকই, তবে এটা হঠাৎ ঘটেনি। তার জন্য একটু একটু করে জমি তৈরি করতে হয়েছে অনেকদিন ধরে। আর সেই কাজটাই নিঃশব্দে করে চলেছে বিজেপির মতাদর্শ নির্ধারক হিসেবে পরিচিত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। RSS-এর সদস্যদের কাছে তিনি পরিচিত ডক্টর সাব হিসেবে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আরএসএস-এর বিরুদ্ধে কট্টর হিন্দুত্ববাদের অভিযোগ উঠেছে! অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর!
যদিও, আরএসএস-এর দাবি, তাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশ গঠন! RSS-এর সদস্যদের প্রত্যেককে কিছু প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সদস্যরা এক জায়গায় একত্রিত হন, ব্যয়াম, লাঠিখেলা, প্রার্থনা কিংবা জাতীয় কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আর এই জায়গাকেই একেই বলে শাখা।
RSS-এর স্বয়ংসেবক থেকে বিস্তারক বা প্রচারক হয়ে ওঠার পথ বেশ লম্বা। প্রথম বর্ষে কোনও রাজ্যের কয়েকটা জেলা থেকে এমন স্বয়ংসেবকদের বেছে নেওয়া হয়, যাঁদের নেতা হওয়ার ইচ্ছা বা প্রতিভা আছে। শিবিরে তাঁদের ব্যায়াম, প্যারেড, খেলাধুলো, বিতর্ক, রান্না, বাগান-সহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়। তারপর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আলাদা আলাদা কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ দেখে দু-তিনটি রাজ্য থেকে কয়েকজন স্বয়ংসেবককে বাছাই করা হয়। তাদের নিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় বর্ষের শিবির। এখানেও একইভাবে স্বয়ংসেবকদের নানারকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিবির শেষে নতুন দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য জায়গায়। সেই দায়িত্ব তাঁরা কতটা ভালভাবে পালন করছেন, তার ভিত্তিতে শুরু হয় তৃতীয় বর্ষের শিবির।
তৃতীয় বর্ষের শিবিরের জন্য স্বয়ংসেবকদের বেছে নেওয়া হয় সারা দেশ থেকে। RSS-এ স্বয়ংসেবকদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় প্রচারক এবং বিস্তারক। যাঁরা সর্বক্ষণের সদস্য হিসেবে থাকার শপথ নেন, তাঁদের প্রথম ধাপে বিস্তারক করা হয়। বিস্তারকদের কাজে খুশি হলে, তাঁদের প্রচারক পদে তুলে আনা হয়।
আরএসএস কখনওই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু, এটাও সবাই জানেন, বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে আরএসএস-এর মতাদর্শ!
RSS শুধু পুরুষদের সংগঠন। একইরকমের একটা সংগঠন রয়েছে মহিলাদের জন্যও। RSS থেকে যেমন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীরা বিজেপিতে এসেছেন, ক্ষমতার অলিন্দে জায়গা করে নিয়েছেন, তেমন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি থেকে উঠে এসেছেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
গত পাঁচ থেকে সাত বছরে গোটা দেশে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্যে যেমন নরেন্দ্র মোদির বড় ভূমিকা রয়েছে, তেমনই নিঃশব্দে আরএসএস যে জমি তৈরি করেছে, তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
২০১৯-এর লোকসভা ভোট থেকে এরাজ্যে চমকপ্রদ উত্থান ঘটেছে বিজেপি-র। এবার একুশের বিধানসভা ভোটে জিতে বঙ্গদখলের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী তারা।
অনেকে বলেন, বাংলায় বিজেপির এই উত্থান হঠাৎ নজরে এসেছে ঠিকই, তবে এটা হঠাৎ ঘটেনি। তার জন্য একটু একটু করে জমি তৈরি করতে হয়েছে অনেকদিন ধরে। আর সেই কাজটাই নিঃশব্দে করে চলেছে বিজেপির মতাদর্শ নির্ধারক হিসেবে পরিচিত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। RSS-এর সদস্যদের কাছে তিনি পরিচিত ডক্টর সাব হিসেবে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আরএসএস-এর বিরুদ্ধে কট্টর হিন্দুত্ববাদের অভিযোগ উঠেছে! অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর!
যদিও, আরএসএস-এর দাবি, তাদের একমাত্র লক্ষ্য দেশ গঠন! RSS-এর সদস্যদের প্রত্যেককে কিছু প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সদস্যরা এক জায়গায় একত্রিত হন, ব্যয়াম, লাঠিখেলা, প্রার্থনা কিংবা জাতীয় কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আর এই জায়গাকেই একেই বলে শাখা।
RSS-এর স্বয়ংসেবক থেকে বিস্তারক বা প্রচারক হয়ে ওঠার পথ বেশ লম্বা। প্রথম বর্ষে কোনও রাজ্যের কয়েকটা জেলা থেকে এমন স্বয়ংসেবকদের বেছে নেওয়া হয়, যাঁদের নেতা হওয়ার ইচ্ছা বা প্রতিভা আছে। শিবিরে তাঁদের ব্যায়াম, প্যারেড, খেলাধুলো, বিতর্ক, রান্না, বাগান-সহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়। তারপর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আলাদা আলাদা কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ দেখে দু-তিনটি রাজ্য থেকে কয়েকজন স্বয়ংসেবককে বাছাই করা হয়। তাদের নিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় বর্ষের শিবির। এখানেও একইভাবে স্বয়ংসেবকদের নানারকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিবির শেষে নতুন দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য জায়গায়। সেই দায়িত্ব তাঁরা কতটা ভালভাবে পালন করছেন, তার ভিত্তিতে শুরু হয় তৃতীয় বর্ষের শিবির।
তৃতীয় বর্ষের শিবিরের জন্য স্বয়ংসেবকদের বেছে নেওয়া হয় সারা দেশ থেকে। RSS-এ স্বয়ংসেবকদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় প্রচারক এবং বিস্তারক। যাঁরা সর্বক্ষণের সদস্য হিসেবে থাকার শপথ নেন, তাঁদের প্রথম ধাপে বিস্তারক করা হয়। বিস্তারকদের কাজে খুশি হলে, তাঁদের প্রচারক পদে তুলে আনা হয়।
আরএসএস কখনওই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু, এটাও সবাই জানেন, বিজেপির প্রতিটি পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে আরএসএস-এর মতাদর্শ!
RSS শুধু পুরুষদের সংগঠন। একইরকমের একটা সংগঠন রয়েছে মহিলাদের জন্যও। RSS থেকে যেমন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীরা বিজেপিতে এসেছেন, ক্ষমতার অলিন্দে জায়গা করে নিয়েছেন, তেমন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি থেকে উঠে এসেছেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
গত পাঁচ থেকে সাত বছরে গোটা দেশে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্যে যেমন নরেন্দ্র মোদির বড় ভূমিকা রয়েছে, তেমনই নিঃশব্দে আরএসএস যে জমি তৈরি করেছে, তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
স্বাস্থ্য
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement