Fake IAS Vaccine Camp: 'ভুয়ো টিকার তরলের মধ্যে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে', মত চিকিৎসক অজয় সরকারের
দেবাঞ্জন দেবের আয়োজন করা ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে দেওয়া ভ্যাকসিনের কোন ব্যাচ নম্বর ছিল না। ভায়ালের উপরে ছিল একটি সবুজ স্টিকার। তার উপরে কোভিশিল্ড নাম লেখা ছিল। এছাড়াও ভায়ালের উপরে মিক্সড ভ্যাকসিন লেখা ছিল। অর্থাৎ পাউডার ও তরল মিশিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। বিসিজি ভ্যাকসিনে এই ধরনের মিক্সড ভায়াল ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের জন্য এখনও কোন মিক্সড ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। করোনার ক্ষেত্রে একটি ভায়াল থেকে প্রায় ১০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ভায়াল আকারে অনেকটাই ছোট।
এই নিয়ে চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, "এটা আমি আগেই টিভিতে দেখে বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা ভ্যাকসিন হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ ভ্যাকসিন ওরকম ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা একটা জল যাতীয় তরল তার সঙ্গে কোনও কেমিক্যাল অ্যানালিসিস মেশানো হয়ে থাকতে পারে। আমার মনে হয় এর থেকে কোনও রিয়্যাকশন হল কি না তা টেস্ট করা উচিত। যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের নাম, ঠিকানা কিছু আছে কি না সেটাও দেখা উচিত। শুধু জল থাকলে কোনও প্রতিক্রয়া দেখা দেওয়ার কথা না। এটার সঙ্গে যদি এমন কোনও বস্তু গিয়ে থাকে যার অ্যান্টিজেনিক ক্যারেক্টার নেই তাহলে আংশিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু তরলের মধ্যে যদি কোনও প্রোটিন জাতীয় পদার্থ থাকে তাহলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সিরিয়াস প্রতিক্রিয়াও হতে পারে।"