Fake Vaccination Camp: ভুয়ো ভ্যাকসিনেশনকাণ্ডে গ্রেফতার ধৃত দেবাঞ্জনের খুড়তুতো ভাই আরও এক
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে দেবাঞ্জন দেবের আরও ২ সহযোগী। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব (Kanchan Deb)। পুলিশের দাবি, নাকতলার বাসিন্দা কাঞ্চন ছিলেন দেবাঞ্জনের অফিসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁকে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হত। প্রথম থেকেই তিনি জানতেন দেবাঞ্জন আদতে IAS নন (Fake IAS)। দেবাঞ্জনের প্রতারণা-কারবারে কাঞ্চনও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃত শরৎ পাত্র কাজ করতেন তালতলা এলাকার এক চিকিৎসকের চেম্বারে। সেখানেই ইঞ্জেকশন দিতে শিখেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে (Fake Vaccination Camp) শরৎই দিতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccine)। দাবি পুলিশের।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে একটি সিকিওরিটি এজেন্সি থেকে দেহরক্ষী নেন দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb)। সেই সময় তিনি ভুয়ো সরকারি নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন রাজ্য সরকার তাঁকে দেহরক্ষী নিতে বলেছে। কসবার অফিসেও আসেন সিকিওরিটি এজেন্সির আধিকারিকরা। ২ মাস পর সিকিওরিটি এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন দেবাঞ্জন। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহরক্ষীকে রেখে দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে গত বছর সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মৌখিক অভিযোগ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের বাড়ির লোক সে সময় জানতে পারেন, তিনি ভুয়ো আইএএস (IAS)। এমনকী দেবাঞ্জন ভুয়ো আইএএস সেজে বেশ কয়েক জায়গায় তল্লাশিও চালান। গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৬৫ হাজার টাকায় অফিস ভাড়া নেন তিনি।