Gariahat Twin Murder: 'সুবীর চাকীর থেকে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল ভিকির, চিনে ফেলাতেই খুন', জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা | Bangla News
কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা-সহ জোড়া খুনে গ্রেফতার ১। ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত মিঠু হালদার। আগামীকাল ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। জোড়া খুনে জড়িত আরও কেউ, জানিয়েছে লালবাজার। গতকাল রাতে ডায়মন্ড হারবার যায় গোয়েন্দা দল। রাতে মিঠুর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সকাল থেকে মিঠুর ছোট ছেলে এবং ভাইকেও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। বিকেলে ডায়মন্ড হারবার থেকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয় মিঠুকে। লালবাজারে আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠু হালদারকে গ্রেফতার। ধৃত মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকি-র খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, 'তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ফোন কলের ডিটেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুবীর চাকীর কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ির কাছে থাকতেন মিঠু হালদার। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার পরই শ্বশুর বাড়ি ছাড়েন মিঠু হালদার। বাড়ি বিক্রির জন্য অনলাইনে বছরখানেক আগে বিজ্ঞাপন দেন সুবীর চাকী। এরপরই সুবীর চাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিঠু হালদারের বড় ছেলে। দেড় কোটি টাকায় বাড়ি কেনার ক্রেতা আছে বলে যোগাযোগ করেন। সুবীর চাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিঠু হালদারের বড় ছেলে'। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, 'কয়েক মাস আগে ডায়মন্ডহারবার থেকে কলকাতায় আসে মিঠুর বড় ছেলে। সুবীর চাকীকে ডেকে টাকা নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা ছিল ভিকির। ভিকিকে চিনে ফেলেন সুবীর চাকী। চিনে ফেলায় সুবীর চাকীকে খুন করে ভিকি। খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিল না ভিকির মা মিঠু। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় চালককেও খুন করে ভিকি।' আরও জানা যাচ্ছে, ‘সুবীর চাকীর সোনার আংটি, মানিব্যাগ নিয়ে উধাও হয়ে যায় ভিকি। খুনের পর কাঁকুলিয়া রোড থেকে ডায়মন্ডহারবার ফেরে ভিকি। মাকে গ্রেফতার করলেও এখনও পলাতক সে। সিসিটিভি দেখে গোয়েন্দাদের সামনে ভেঙে পড়ে মিঠু হালদার। ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে রক্তমাখা জামা পরিবর্তন করে ভিকি। ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর নিজের বাবাকে খুনের চেষ্টা করে মিঠু হালদারের দুই ছেলে। ২০২০ খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হন মিঠু হালদার। কাঁকুলিয়া রোডের খুনের ঘটনা জানলেও তথ্য গোপন করেন মিঠু হালদার। বারবার ফোনের নম্বর বদল করছে ভিকি। লোকেশন পাল্টে গোয়েন্দাদের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ভিকি।'