Roopa Ganguly: দলীয় প্রার্থীকে আক্রমণ, ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক রূপা গঙ্গোপাধ্যায়| Bangla News
পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির (BJP) মধ্যে কোন্দল চরমে। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে মাঝপথেই বৈঠক ছাড়লেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। ফেসবুক পোস্টে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগও তুললেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ কলকাতার পুরভোট নিয়ে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও কলকাতা পুরভোটের নির্বাচনী কমিটির সদস্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। আধঘণ্টা বৈঠক চলার পর রাত দশটা নাগাদ সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বক্তব্য শেষ হতেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকের মধ্যে হঠাত্ই রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলে ওঠেন, ‘সুকান্তবাবু আছেন বৈঠকে? আমাকে এরকম (অর্থহীন) মিটিংয়ে ডাকেন কেন? এসব আলোচনায় আমাকে ডাকবেন না। আমি মিটিং ড্রপ করছি।’
সূত্রের খবর, এরপরেই আচমকা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেসবুক পোস্ট করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রয়াত প্রাক্তন কোঅর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লেখেন, ‘দুর্ঘটনা নয়, তিস্তার মৃত্যু যে খুন ছিল, আজ আমার সেই বিশ্বাস প্রমাণিত হয়েছে। দুঃখিত বাংলা বিজেপি। সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী গৌরবের পাশে আছি।’
তিস্তা বিশ্বাসের ওয়ার্ডে এবার রাজর্ষি লাহিড়িকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। পাল্টা এই ওয়ার্ডে নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সদ্য প্রয়াত বিদায়ী কাউন্সিলরের স্বামী গৌরব বিশ্বাস। আর প্রকাশ্যেই বিজেপির ঘোষিত প্রার্থীকে নিশানা করে নির্দল প্রার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ও বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুকে নিজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনের এক জায়গায় তিনি লেখেন, ‘বন্ধুর পিছনে ছুরি মারা পাবলিক রাজর্ষি লাহিড়ি। রাজর্ষি কোনওদিন কারও হতে পারে না। শিকদার আর এ রায় টাকা নিয়ে সিটটা (৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীপদ) বিক্রি করেছে। সব প্রমাণ আমি দিয়ে ছাড়ব।’
শুধু নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনই নয়। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেও।
বিজেপির অন্দরে প্রার্থী-কোন্দল। কটাক্ষ তৃণমূলের। অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পরই মঙ্গলবার চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এখন তাঁর প্রশ্ন, তাহলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
এদিকে বিজেপির অন্দরে এই অস্বস্তির মাঝেই এদিন রাজ্য বিজপির সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনে সাংবাদিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হল। নোটিস দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, এখন আর অফিসের দোতলায় উঠতে পারবেন না সাংবাদিকরা। ওপরে ওঠার সিঁড়ির মুখেই বসানো হয়েছে গ্রিলের দরজা।