Financial Rules: বিনিয়োগ, বিমা, সঞ্চয়, আপদকালীন ফান্ড সব কিছুর সমাধান এই ৬ নিয়মে; এনে দেবে আর্থিক নিরাপত্তা
Financial Rules: আর্থিক নিরাপত্তা যে কোনও ব্যক্তির কাছে তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি যা যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাকে সাহায্য করে অনেকাংশে এবং তাঁকে খানিক মানসিক শান্তি দেয়।

Financial Security Rules: সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে একজন বিনিয়োগ ও বাজার বিশেষজ্ঞের এক্স পোস্ট খুবই ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক নিরাপত্তার বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার নিদান দিয়েছেন। আর এই পোস্ট দ্রুত নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। বাজার ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ এ কে মন্ধন তাঁর এই এক্স পোস্টে পার্সোনাল ফিনান্সের (Financial Rules) কিছু জরুরি নিয়মের উল্লেখ করেছেন যা মানুষকে সহজেই আর্থিক স্থিতি বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিতে (Financial Security Rules) কাজে লাগবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ‘রুল অফ ৭২’, ‘৬ গুণ এমার্জেন্সি ফান্ড’, ‘২০ গুণ জীবন বিমা ইত্যাদি’।
আর্থিক নিরাপত্তা যে কোনও ব্যক্তির কাছে তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি যা যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাকে সাহায্য করে অনেকাংশে এবং তাঁকে খানিক মানসিক শান্তি দেয়।
Rule of 72
আপনার টাকা দ্বিগুণ করতে হলে এই নিয়মটি মনে রাখতেই হবে। এক্ষেত্রে কত শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন আপনার বিনিয়োগের উপরে তা দিয়ে ৭২ সংখ্যাটিকে ভাগ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ঠিক কত বছরে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা দ্বিগুণ হবে। যেমন কেউ যদি ১ লক্ষ টাকা ১২ শতাংশ সুদের হারে বিনিয়োগ করেন তাহলে তাঁর টাকা (৭২÷১২) নিয়মে ৬ বছরে সেই টাকা দ্বিগুণ হবে। ১ লাখ হয়ে যাবে ২ লাখ।
4.1% Rule
আর্থিকভাবে নিজেকে স্বাধীন করতে চাইলে আপনাকে এই নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করতে হবে। এই নিয়ম অনুসারে আপনাকে আপনার বার্ষিক খরচের ২৫ গুণ টাকা জমাতে হবে ফান্ডে। এবার সেই টাকা অর্ধেক ইকুইটি এবং বাকি অর্ধেক ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে দিতে হবে। প্রতি মাসে সেই টাকা ৪ শতাংশ করে তুললেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। এতে টাকা শেষও হবে না, মাসিক খরচও চলতে থাকবে।
50-30-20 Rule
এই নিয়ম অনুসারে আপনার মোট আয়ের ৫০ শতাংশ খরচ হওয়া উচিত আপনার জরুরি প্রয়োজনের উপরে। ৩০ শতাংশ খরচ করে শখ পূরণ করতে হবে আর ২০ শতাংশ আপনার সঞ্চয়, বিনিয়োগের পিছনে খরচ করা উচিত।
৩ গুণ আপদকালীন ফান্ড
নিয়ম অনুসারে আপনার আয়ের ৩ গুণ টাকা আপনাকে আপদকালীন ফান্ড হিসেবে আলাদা সরিয়ে রেখে দিতে হবে। চাকরি চলে গেলে বা কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এই টাকা আপনাকে আর্থিক স্থিতি এনে দেবে। তবে মাসিক আয়ের ৬ গুণ টাকা এমার্জেন্সি ফান্ডে রাখলে আরও সুবিধে হবে।
জীবনবিমার নিয়ম
আপনার বার্ষিক আয়ের ২০ গুণ টাকার মূল্যের জীবনবিমা করাতে হবে আপনাকে। অর্থাৎ আপনি যদি বছর ৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন তাহলে আপনাকে ১ কোটি ২৫ হাজার টাকা কভারেজের জীবনবিমা করাতে হবে নিজের নামে যাতে আপনার অবর্তমানে আপনার পরিবারের কোনও আর্থিক সমস্যা না আসে।























