Stock Market: ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে চান ? মাথায় রাখুন এই ৫ বিষয়
Demat Account Opening: ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইছেন ? কোনও প্ল্যাটফর্মে খোলার আগে কী কী বিষয় মাথায় না রাখলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি, জানেন কি ?
Demat Account: শেয়ার বাজারে লগ্নি করতে চান ? ট্রেডিং বা লং টার্ম ইনভেস্টিং করবেন ? কিন্তু সবার আগে দরকার একটা জিনিস- ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। টাকা লেনদেনের জন্য যেমন ব্যাঙ্কে আপনাকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, তেমনি শেয়ার বাজারেও কেনাবেচা করার জন্য এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) খুলতে হয়। আর এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট কী ?
স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, ইটিএফ ইত্যাদি কেনা কাটার ক্ষেত্রে পরিভাষাগত দিক থেকে এগুলিকে সিকিউরিটিজ বলে আর এই সিকিউরিটিজ কিনে রাখতে গেলে যে অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন তাকেই ডিমেটেরিয়ালাইজড অ্যাকাউন্ট বলে, সংক্ষেপে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account)। NSDL বা CDSL-এর মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এমনকী এই সংস্থাগুলির দ্বারা আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হয়ে থাকে। সর্বোপরি সেবি (SEBI) নিয়ন্ত্রণ করে এই দুই সংস্থাকে।
কীভাবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলবেন ?
- সাধারণভাবে যে কোনও স্টক ব্রোকার বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
- প্রথমে একটি ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট (DP) পছন্দ করতে হবে যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। যেমন- NSDL বা CDSL ইত্যাদি।
- এখন বাজারে অনেক ধরনের ব্রোকিং অ্যাপ এসে গিয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে খুব সহজেই ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা যায়।
- এক্ষেত্রে ফোন নম্বর, প্যান কার্ডের নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।
- e-KYC পদ্ধতির মাধ্যমে খোলা যাবে আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট।
- পুরো পদ্ধতি হবে অনলাইনেই।
- এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক থাকবে আপনার নির্দিষ্ট কোনও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যেখান থেকে শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ড কেনা-বেচা করা যাবে।
কী কী জিনিস মাথায় রাখতে হবে ?
- খুব সহজে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় কিনা সেই বিষয়টা দেখে নিতে হবে। অনলাইনে KYC করলে মাত্র ২ দিনের মধ্যেই আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) সক্রিয় হয়ে যাবে। এই পদ্ধতি যাতে খুব সহজে করা যায় সেটা দেখে নিতে হবে।
- ইউজার ইন্টারফেস যাতে মসৃণ হয়, ওয়েব ইন্টারফেস ব্যবহার করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যাচাই করে নিতে হবে। যে প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলছেন, সেখানে শেয়ার বাজারের বিশ্লেষণ, চার্ট দেখা, ট্রেডিং ইত্যাদি সমস্ত কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে করা যায় তা খতিয়ে দেখতে হবে।
- ট্রেডিং কস্ট ও ব্রোকারেজ- প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের আলাদা আলাদা ব্রোকারেজ চার্জ ধার্য করা থাকে। এই কস্টিংয়ের হিসেবটা আগে থেকে করে নিতে হবে। ট্রেডিং হোক বা ইনভেস্টিং ব্রোকারেজ কম থাকলে, মুনাফার অংক অনেক বেশি পাওয়া যাবে। এমনকী প্ল্যাটফর্মের কোনও হিডেন চার্জ আছে কিনা, তাও দেখতে হবে।
- মেন্টেন্যান্স চার্জ যেন সাধ্যের মধ্যে থাকে। বার্ষিক একটা ফি দিতে হয় ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট চালানোর জন্য, সেটা যাতে খুব কম থাকে।
- মার্জিন ট্রেডিং- যারা মূলত ট্রেডিং করার জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Demat Account) খুলছেন, তাঁদের অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে মার্জিন কত দিচ্ছে কোন প্ল্যাটফর্মে। অর্থাৎ লেভারেজ নিয়ে স্টক কেনাবেচায় কতটা ছাড় পাচ্ছেন আপনি, তা জেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: Paytm নিয়ে নতুন রেটিং দিল ব্রোকিং ফার্ম, আজ কমল না বাড়ল স্টকের প্রাইস ?