Amazon Layoff: ফের কর্মী ছাঁটাই অ্যামাজনে, এবার চাকরি খোয়াতে পারেন ২০ হাজার কর্মী!
Amazon: দ্বিতীয় পর্যায়ে অ্যামাজনের কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া। আতঙ্ক সংস্থায়। আগের বার কাজ হারিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার কর্মী। এবার সংখ্যা বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ।
Amazon Employee Layoff: বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থায় চলছে কর্মী ছাঁটাই (Employee Layoff)। ইতিমধ্যেই এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অ্যামাজনের (Amazon) নাম। ২০২২ সাল অর্থাৎ চলতি বছরের শেষে অ্যামাজন কর্মী ছাঁটাই করেছে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি খুইয়েছেন। এর পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে ২০২৩ সাল অর্থাৎ আগামী বছরেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া জারি রাখবে অ্যামাজ কর্তৃপক্ষ। এবার শোনা গিয়েছে, অ্যামাজন সংস্থা প্রায় ২০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আলাদা আলাদা বিভাগ থেকে কর্মীদের সরানো হবে বলে খবর। অ্যামাজনের ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার, টেকনোলজি স্টাফের পাশাপাশি কর্পোরেট এক্সিকিউটিভদেরও ছাঁটাই করা হবে। আসন্ন কয়েক মাসের মধ্যেই ফের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ।
অ্যামাজনের এই কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা নতুন কিছু নয়। কারণ সংস্থার সিইও অ্যান্ডি জেসি আগেই জানিয়েছিলেন যে নতুন বছরেও কর্মী ছাঁটাই হবে। তবে কত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হবে তা জানা যায়নি। চলতি বছর নভেম্বর মাসেও অ্যামাজনে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। সেখানে অন্তত ১০ হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছে। নতুন বছরে আগত কয়েক মাসে সেই সংখ্যাই প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে। অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ তাদের কর্পোরেট স্টাফের ৬ শতাংশ ছাঁটাই করতে চলেছে। বর্তমানে অ্যামাজনের ওয়ার্ক ফর্স প্রায় ১.৫ মিলিয়ন। এর ১.৩ শতাংশ ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে অ্যামাজনের। এই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের কোপ পড়তে পারে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার এবং ঘণ্টা হিসেবে কর্মরতদের উপরেও। বিভিন্ন সূত্রে খবর, অ্যামাজনের কর্পোরেট স্টাফদের ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অনেকক্ষেত্রে কর্মীদের ধরানো হয়েছে ২৪ ঘণ্টার নোটিস। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পর থেকে আর চাকরি বহাল থাকবে না ওই কর্মীর। এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে অ্যামাজনের কর্মীদের মধ্যে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা গেলেও কোন বিভাগ থেকে বা কোন দেশ থেকে এই ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিশ্বজুড়েই এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া বহাল থাকবে এবং বিভিন্ন বিভাগেই কোপ পড়বে তা আন্দাজ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর মধ্যেই ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি শেয়ার চ্যাটও কর্মী ছাঁটাই করেছে। নিজেদের ওয়ার্ক ফোর্সের ৫ শতাংশ ছাঁটাই করেছে শেয়ার চ্যাট কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি শেয়ার চ্যাট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে তারা তাদের fantasy sports platform যার নাম নাম Jeet11- তা বন্ধ করতে চলেছে। এখানেই শেষ নয়। শোনা গিয়েছে, ভারতের budget hotel chain সংস্থা OYO তাদের প্রোডাক্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ৬০০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনায় রয়েছে। শেয়ার চ্যাটের পর OYO দ্বিতীয় ভারতীয় কোম্পানি যা ২০২২ সালের শেষে লগ্নে এসে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়েছে ভারতেও।
আরও পড়ুন- এবার ছাঁটাই শেয়ার চ্যাটেও, চাকরি খুইয়েছেন ১০০-র বেশি কর্মী