Trump Tariff: দেখতে থাকলেন ট্রাম্প ! বাজিমাত করে গেল ভারত, বলছে রিপোর্ট
India US Relation : মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরেও রাশিয়ার থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পকে ধাঁধিয়ে রেখে বিশ্ববাজারে বাজিমাত করেছে নয়াদিল্লি।

India US Relation : বার বার ধমক-চমকে কাজ হল না। ভারতকে বাগে আনতে গিয়ে নিজের দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প ent(Trump Tariff)। মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরেও রাশিয়ার থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত (Russia India Relation)। রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্পকে (Donald Trump) ধাঁধিয়ে রেখে বিশ্ববাজারে বাজিমাত করেছে নয়াদিল্লি।
কী কারণে ভারতের ওপর চাপ দিচ্ছে আমেরিকা
আসলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও বন্ধ করতে পারেনি আমেরিকা। ক্ষমতায় এসে অনেকবার এই যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবের মুখ দেখেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি। মূলত, রাশিয়ার অর্থনীতির ক্ষতি করতে গিয়ে ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে আমেরিকা। যে কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সব মিলিয়ে এই শুল্ক এখন ৫০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা চাইছে রাশিয়ার অর্থনীতি ধ্বংস করতে ভারতে যেন ক্রেমলিনের থেকে তেল কেনা বন্ধ করে।
বিপুল লাভ করছে ভারত
ট্রাম্পের হুমকিতে দমেনি ভারত। উল্টে রাশিয়ার থেকে তেল কিনেই চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সস্তায় এই তেল কিনে বিশ্ব বাজারে বিক্রি করছে ভারতের তেল কোম্পানিগুলি। কেবল অগাস্টের হিসেব বলছে, ভারতের ডিজেল রফতানি ১৩৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দিনে এখন ২,৪২,০০০ ব্যারেল তেল রফতানি করছে ভারত। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ২০২৬ সাল থেকে আর এই কাজ করতে পারবে না রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মতো ভারতের বড় কোম্পানি।
ইউরোপে ভারতের তেল রফতানি ৭৩ শতাংশ বেড়েছে
বিশ্ববাজারে তেল রফতানির পরিসংখ্যান বলছে, কেবল ইউরোপের মধ্যেই অগাস্টে ইউরোপে ভারতের ডিজেল রফতানি মাসিক ভিত্তিতে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণকারী সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, বার্ষিক ভিত্তিতে ইউরোপে ভারতের তেল রফতানির পরিমাণ ১২৪ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি লাভ করেছে। একই সময়ে আরেকটি এনার্জি ট্র্যাকার ভর্টেক্সা বলছে- অগাস্ট মাসে ইউরোপে ভারতের ডিজেল রফতানি ছিল প্রতিদিন ২,২৮,৩১৬ ব্যারেল। বার্ষিক ভিত্তিতে এটি ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি, যেখানে জুলাইয়ের তুলনায় এটি ৩৬ শতাংশ বেশি।
এই বিষয়ে বাজার বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন ?
আসলে, ইউরোপে ভারতের তেল রফতানি বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিশোধকদের অগ্রিম রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত, শীতকালীন চাহিদা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধ - এই সব ভারতীয় সরবরাহকারীদের ইউরোপে তেল বিক্রির পরিস্থিতিতে সমস্যা করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন- ডিজেলের চাহিদা সারা বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল জুড়ে খুব বেশি থাকবে, সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কেনায় যার সুবিধা পাবে ভারত।
ট্রাম্প দেখেই গেলেন, বাজিমাত করল ভারত
তবে রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কেনায় বিশ্ব মঞ্চে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা অভিযোগ করেছেন, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তা তেল কিনে প্রক্রিয়াজাত করে পশ্চিমি দেশগুলিতে বিক্রি করে। যার ফলে বিপুল মুনাফা লাভ করেছে ভারতের তেল কোম্পানিগুলি। রাশিয়ার থেকে এই তেল কেনার মাধ্যমে আসলে ভারত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মস্কোকে আর্থিক সাহায্য করছে।
তবে, ভারত এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমি দেশগুলির যদি ভারতের থেকে তেল কিনতে কোনও আপত্তি থাকে তবে তারা চুক্তি বন্ধ করতেই পারে।






















