Trump Tariff : ট্রাম্প এবার 'মোদির শত্রু', ভারতের ওপর আরও শুল্ক ! এই পণ্য রফতানিতে ট্যারিফ ?
India US Relation : সম্প্রতি মার্কিন দুই সেনেটরের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতেকে বিপদে ফেলার উক্তি।

India US Relation : মুখে বন্ধু বললেও শত্রুর মতো কাজ করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এবার ভারতের বিরুদ্ধে আরও ট্যারিফের (Trump Tariff) পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। সম্প্রতি মার্কিন দুই সেনেটরের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতেকে বিপদে ফেলার উক্তি।
বেড়েই চলেছে ভারতের ওপর চাপ
আমেরিকা প্রতিদিন ভারতের জন্য নতুন নতুন অর্ডার আনছে। কখনও ভারতীয় পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করছে, কখনও রাশিয়া থেকে তেল কেনার ওপর জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে। সম্প্রতি বলা হয়েছে, যে H1B ভিসার ওপর ধার্য ফিও বার্ষিক এক লক্ষ ডলারে বাড়ানো হবে। যার ভারতীয় মুদ্রায় পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা।
আরও ট্যারিফ ভারতের ওপর ?
এখন আমেরিকা ভারতকে আরেকটি ধাক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসলে, মার্কিন সেনেটর বিল ক্যাসিডি ও সিন্ডি হাইড-স্মিথ ভারতের চিংড়ি রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের জন্য মার্কিন সেনেটে একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চিংড়ি শুল্ক আনার মূল উদ্দেশ্য, আমেরিকার লুইসিয়ানার চিংড়ি ও ক্যাটফিশ শিল্পকে বাঁচানো।
ভারতের বিরুদ্ধে অন্যায্য শুল্ক চাপানো
মার্কিন সেনেটরদের যুক্তি, মার্কিন বাজারে চিংড়ি রফতানিতে ভারত অন্যায্য বাণিজ্য নিয়মের আশ্রয় নিচ্ছে, যা লুইসিয়ানার চিংড়ি ও ক্যাটফিশ শিল্পের ক্ষতি করছে। প্রস্তাবিত বিলটির লক্ষ্য ,মার্কিন বাজারে ভারতীয় চিংড়ির ডাম্পিং রোধ করা।
এই নিয়ে ক্যাসিডি বলেন, "এই বিল লুইসিয়ানার সামুদ্রিক খাবার শিল্প ও এর ওপর নির্ভরশীলদের চাকরি রক্ষা করবে।" তিনি আরও বলেন যে লুইসিয়ানার চিংড়ি এবং ক্যাটফিশ চাষীরা ভারতের তুলনায় অনেক উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করবে।
এমপিদের দাবি - এই বিল উভয়কেই সমান সুযোগ দেবে
সেনেটর হাইড-স্মিথের মুখেও শোনা গেছে একই কথা। তিনি বলেন- ভারত থেকে অনিয়ন্ত্রিত আমদানি আমেরিকান চিংড়ি উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও উপভোক্তাদের ক্ষতি করছে। তিনি আরও বলেন, "এই বিলটি আমাদের স্থানীয় শিল্পের জন্য আরও সমান সুযোগ প্রদান করবে।"
গত সপ্তাহে, ক্যাসিডি মার্কিন সেনেটে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি ট্রেজারি মনোনীত জোনাথন গ্রিনস্টেইনের কাছ থেকে লুইসিয়ানা চিংড়ি উৎপাদনকারীদের সাপোর্ট করার প্রতিশ্রুতি অর্জন করেছিলেন। এই বছরের শুরুতে, ক্যাসিডি এবং তার সহযোগী রিপাবলিকানরাও ভারত এবং চিন থেকে চাল আমদানি নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন।
এইচ-১বি ভিসার আবেদন ফিও বৃদ্ধি পেয়েছে
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেকটি ধাক্কা এসেছে। "কিছু অ-অভিবাসী কর্মীদের প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ" শিরোনামের এই ডিক্রিটি এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে একটি বড় পরিবর্তনের দিক ইঙ্গিত করে।
২১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এই ডিক্রি অনুসারে, H-1B ভিসার আবেদনকারীদের বার্ষিক ১০০,০০০ ডলার মোটা অঙ্কের ফি দিতে হবে। ট্রাম্প বলেছেন যে এই পদক্ষেপকে "পদ্ধতিগত অপব্যবহার"-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। H-1B ভিসার ফি বৃদ্ধি করার সময়, ট্রাম্প বলেছেন- এখনও পর্যন্ত আমেরিকান কর্মীদের কম মজুরি ও কম দক্ষ শ্রমের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। আমাদের নাগরিকদের চাকরি দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।






















