বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১.৫ লক্ষ টাকা ছুঁতে পারে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ, ইটিএফ ফ্লো এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্রয়ের কারণে সোনার দাম বাড়ছে।
Gold Price : ২০২৬ সালের মধ্যে দেড় লাখ হতে পারে সোনার দাম, বলছে রিপোর্ট
Gold Rate : মাঝে কিছুটা কারেকশন হলেও ২০২৬ সালের মধ্যেই দেড় লাখ টাকা ছোঁবে ১০ গ্রাম সোনা (Gold Price)।

Gold Rate : বছরে শেষ হতে হাতে রয়েছে কয়েকটা মাস। চলতি সপ্তাহেই দারুণ গতি নিয়েছে সোনার দাম। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সোনার রেট সেভাবে কমার সম্ভাবনা কম। মাঝে কিছুটা কারেকশন হলেও ২০২৬ সালের মধ্যেই দেড় লাখ টাকা ছোঁবে ১০ গ্রাম সোনা (Gold Price)।
সোনা নিয়ে কী বলছে এই রিপোর্ট
গত ধনতেরাসের পর থেকে সোনার দাম টাকার দিক থেকে প্রায় ৬৩ শতাংশ এবং ডলারের দিক থেকে ৫৩ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। ভেনচুরা সিকিউরিটিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ১.৫ লক্ষ টাকার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ, ইটিএফ ফ্লো ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্রয়ের কারণে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন কী অবস্থা সোনার দামে
২০২৫ সালের মার্চ থেকে সোনার দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। প্রতি আউন্স ৩,০০০ ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ৪,২৫৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারতে, ২০২৪ সালের ধনতেরাসের দিনে প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮,৮৪০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ১২৮,২০০ টাকা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে , "ধনতেরাস ২০২৫ থেকে পরবর্তী র্যালি শুরু করে, ২০২৬ সালে প্রতি আউন্স ৫০০০ ডলার বা প্রতি দশ গ্রামে ১,৫০,০০০ টাকার জোনে যেতে পারে।"
এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ভেনচুরার প্রোডাক্ট ও সিআরএম প্রধান এন.এস. রামাস্বামী মার্কিন শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান মন্দার ঝুঁকি তুলে ধরেছেন, যার ফলে সুদের হার কমানো সম্ভব। অর্থনৈতিক তথ্য (কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতি) দেরি হওয়ার কারণে মার্কিন সরকার শাটডাউন মোডে থাকায়, FED চেয়ারম্যান পাওয়েলের উপর মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে ।যিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজার ঝুঁকি আরেকটি সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের দিতে যেতে পারে নিতে পারে আমেরিকা। " তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের ঋণ পরিশোধের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, জাতীয় ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বেড়েছে। কারণ চিন বিরল আর্থ মেটেরিয়ালের উপর কঠোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। কারণ চিন এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী। ইতিমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনা আমদানির উপর বিদ্যমান ৩০ শতাংশ শুল্কের উপরে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছে, যা সোনার চাহিদা বাড়িয়েছে।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। টিপ দিই না। )
Frequently Asked Questions
আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম কত হতে পারে?
বর্তমানে সোনার দামের পরিস্থিতি কেমন?
২০২৫ সালের মার্চ থেকে সোনার দাম বেশ বেড়েছে। ভারতে, ২০২৪ সালের ধনতেরাসের দিনে প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮,৮৪০ টাকা থেকে বর্তমানে ১২৮,২০০ টাকা হয়েছে।
সোনার দাম বৃদ্ধির পিছনে মূল কারণগুলি কী কী?
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার কমানো, মার্কিন শ্রমবাজারে মন্দার ঝুঁকি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা সোনার দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ পরিস্থিতি সোনার দামকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্রমবর্ধমান ঋণ (৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার) পরিশোধের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এটি সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে সোনার দাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।






















