GST Fraud: ২ লক্ষ কোটির কর ফাঁকি ! অনলাইন গেমিংয়ের জালিয়াতি নিয়ে জোর তর্জা
GS Intelligence: জিএসটি ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে গত অর্থবর্ষে এরকম ৬০৮৪টি ক্ষেত্রে ২.০১ লক্ষ কোটি টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে তাদের অনুসন্ধানে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা কর ফাঁকি পড়েছে।
GST Evasion: জিএসটি ইন্টেলিজেন্স সংস্থার ডিরেক্টরেট জেনারেলের কাজই হল সারা দেশে জিএসটি ফাঁকির ঘটনা নজরে রাখা। সম্প্রতি এই সংস্থার ডিরেক্টরেট জেনারেল সম্প্রতি ২.০১ লক্ষ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকির (GST Evasion) ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে। এক বছরে এই জিএসটি ফাঁকির অঙ্ক বেড়ে গিয়েছে দ্বিগুণ হারে। ডিজিজিআই-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে জিএসটি ফাঁকির (GST Fraud) ৪৬ শতাংশ ধরা পড়েছে আয়কর না দেওয়ার ক্ষেত্রে, ২০ শতাংশ রয়েছে ভুয়ো ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, অন্যদিকে ১৯ শতাংশ রয়েছে অনৈতিক উপায়ে কর বাঁচানোর সুবিধে নেওয়ার মধ্যে।
৬০৮৪টি ক্ষেত্রে ২.০১ লক্ষ কোটির কর ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে
জিএসটি ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে গত অর্থবর্ষে এরকম ৬০৮৪টি ক্ষেত্রে ২.০১ লক্ষ কোটি টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে তাদের অনুসন্ধানে। এই তথ্য অনুসারে সবথেকে বেশি কর ফাঁকির ঘটনা দেখা গিয়েছে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম এবং বিএফএসআই সার্ভিস সেক্টরে। এছাড়া আয়করে ফাঁকির ঘটনা সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছে লোহা, তামা, স্ক্র্যাপ ও সংকর ধাতুর সেক্টরেও। জিএসটি ইন্টেলিজেন্স ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৪৮৭২টি ঘটনায় ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা কর ফাঁকি প্রকাশ্যে এনেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ঐচ্ছিক কর আদায় হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
জিএসটি ফাঁকির ঘটনা ব্যাঙ্কিং, ফিনান্সিয়াল সেক্টরেও রয়েছে
এই প্রতিবেদন অনুসারে, অনলাইন গেমিং সেক্টরে সবথেকে বেশি জিএসটি ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। শেষ অর্থবর্ষে ৭৮টি ঘটনায় ৮১,৮৭৫ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকির ঘটনা এসেছিল প্রকাশ্যে। তারপরে দ্বিতীয় স্থানেই আছে ব্যাঙ্কিং ও ফিনান্সিয়াল সেক্টর যেখানে ১৭১টি ঘটনায় ধরা পড়েছে ১৮,৯৬১ কোটি টাকার জালিয়াতি। কনট্র্যাক্ট সার্ভিসেসের ক্ষেত্রে ২৮৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে, ফার্মা সেক্টরেও এরকম ২২টি ঘটনা দেখা গিয়েছে।
পান মশলা, বিড়ি, সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী সংস্থার কর ফাঁকি
জিএসটি ইন্টেলিজেন্স জানাচ্ছে পান মশলা, তামাক, বিড়ি, সিগারেট উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ৫৭৯৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে, এমন ২১২টি ঘটনা উঠে এসেছে। প্লাইউড, কাঠ ও কাগজের সেক্টরেও ২৩৮টি ঘটনায় মোট ১১৯৬ কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়েছে। ১১৬৫ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার কর ফাঁকির ঘটনায়। সেন্ট্রাল জিএসটি জোন ১৪,৪৯২টি ঘটনায় মোট ৩৫,৩৭৭ কোটি টাকার কর ফাঁকি প্রকাশ্যে এনেছে।
আরও পড়ুন: Upcoming IPO: আগামী সপ্তাহেই বাজারে আসবে এই ৫ IPO, লিস্টিং হবে ১৪ শেয়ারের