Pakistan Economy Crashed: ভারতের ভয়ে কাঁপুনি, আরও নীচে পাক অর্থনীতি
Kashmir News : পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, শেয়ার বাজার থেকে দ্রুত সরে আসছে বিনিয়োগকারীরা। আন্তর্জাতিক সংস্থাও আর্থিক রেটিং কমিয়েছে পাকিস্তান থেকে।

Kashmir News : কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার বদলা নিতে প্রস্তুত ভারত। পাকিস্তানের দিকেই উঠেছে অভিযোগের তির। ইতিমধ্যেই জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের আবহ। যদিও ভারতের আক্রমণের আগেই ধস নেমে গেছে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে (Pakistan Economy Crashed )। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, শেয়ার বাজার থেকে দ্রুত সরে আসছে বিনিয়োগকারীরা। আন্তর্জাতিক সংস্থাও আর্থিক রেটিং কমিয়েছে পাকিস্তান থেকে।
ধসে যাচ্ছে পাক অর্থনীতি
জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে পাকিস্তানের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে, যা আগে থেকেই খারাপ ছিল। ভারতের কঠোর পদক্ষেপের পর শুধু পাকিস্তানের শেয়ারবাজারই নয়, পুরো অর্থনীতিতে ধস নামতে শুরু করেছে।
ভারতের বড় পদক্ষেপ
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে। এর পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের সার্ক ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, হাইকমিশনের কর্মী কমানো হয়েছে ও আটারি সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি আগে থেকেই আইসিইউতে ছিল
ভারতের কঠোর অবস্থানের পরই যে পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে তা নয়। এর আগেও পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আইএমএফ পাকিস্তানের জিডিপি বৃদ্ধি 2.6 শতাংশে নামিয়ে এনেছে । এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কও পাকিস্তানের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে প্রত্যাশা কমিয়ে 2.5 শতাংশ করেছে।
বেশি চা খেলে ঋণ নিতে হবে
কিছুদিন আগেও পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী এহসান ইকবাল কম চা পান করার জন্য আবেদন করছিলেন, কারণ চা আমদানির জন্যও ঋণ নেওয়ার চিন্তা ভাবাচ্ছিল তাদের। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানে 2023 সালে মুদ্রাস্ফীতি 38.5 শতাংশে পৌঁছেছিল। মাত্র কয়েক সপ্তাহের আমদানির জন্য রিজার্ভ যথেষ্ট ছিল ও সুদের হার 22 শতাংশে পৌঁছেছিল। এটি সেই পাকিস্তান, যা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদদ দেওয়ার অভিযোগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে FATF-এর গ্রে লিস্টে ছিল।
একটি চালের দানার জন্যও ছটফট করতে হবে পাকিস্তানকে
ভারত সিন্ধু জল চুক্তি সাসপেন্ড করায় এখন পাকিস্তানের কৃষি ভবিষ্যতও চিন্তার মুখে পড়েছে। পাকিস্তানের ৯০ শতাংশ ফসল, গম, চাল, তুলো সিন্ধু নদীর জল দিয়ে সেচ করা হয়। সেই ক্ষেত্রে জলের প্রবাহ কমে গেলে বা তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হলে পাকিস্তানের কৃষি অর্থনীতি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। পাকিস্তানের এই কৃষির ওপর দেশের জিডিপির 22.7 শতাংশ নির্ভর করে, যেখানে 37.4 শতাংশ লোক কাজ করে।






















