Tata Sons: ২৭ হাজার কোটি বিনিয়োগে নতুন কারখানা চালু করল টাটা, কাজ পাবেন হাজার তরুণ
Tata Semiconductor Plant in Assam: টাটা জানিয়েছে আগামী বছর ২০২৫ সালে এই কারখানা চালু হবে। শনিবার অর্থাৎ গতকাল টাটা গ্রুপ জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই ১০০০ জন অসমের কর্মী এই কারখানায় কাজ করছেন।
Tata Group: দেশে চিপ-নির্মাতা সংস্থার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে টাটা সন্স আর চিপ নির্মাণে ভারতে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও উদ্যোগ নিচ্ছে টাটা। আর অসমে এর নতুন সেমিকন্ডাক্টর কারখানা গড়ে তুলতে চলেছে টাটা। এবার সেই কারখানার (Tata Semi-Conductor Plant) ভূমি পূজা হল সম্প্রতি। এই কারখানাতে টাটা মোট ২৭ হাজার কোটি টাকা (Tata Jobs) বিনিয়োগ করবে। আর এই কারখানা স্থাপন হলে প্রায় ২৭ হাজার ছেলে-মেয়ে চাকরি পাবে টাটা সংস্থায়।
টাটা জানিয়েছে আগামী বছর ২০২৫ সালে এই কারখানা চালু হবে। শনিবার অর্থাৎ গতকাল টাটা গ্রুপ জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই ১০০০ জন অসমের কর্মী এই কারখানায় কাজ করছেন। আর ভবিষ্যতে এই সংস্থা আরও কিছু বড় বড় কোম্পানিকে এই সেমকন্ডাক্টর উৎপাদনের কাজে নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে।
ভূমিপূজা সম্পন্ন হল এই কারখানার
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এদিন কারখানার ভূমিপূজা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে তিনি বলেন এই কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে ১৫ হাজার এবং পরোক্ষভাবে ১২ হাজার চাকরি হবে। এছাড়াও এই কারখানায় টাটার সরবরাহকারীরাও ধীরে ধীরে সংযুক্ত হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আর রাজ্যের কাছে এটি একটি সোনালি মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। অসমের মানুষ সবসময় টাটা গ্রুপের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে বলে জানান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি আশ্বস্ত করেন যে এই কারখানা তৈরিতে এবং পরিচালনার কাজে টাটা গ্রুপের কোনও সমস্যা হবে না।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী জানান
অসমের মরিগাঁও জেলার জাগিরোডে এই কারখানা গড়ে তুলছে টাটা গ্রুপ। এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কারণে অসমের এই কারখানা তৈরির স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন এই কারখানায় উৎপাদিত চিপ দেশের সমস্ত সংস্থার কাজে আসবে তা সে বৈদ্যুতিন যানবাহন নির্মাতা সংস্থা হোক না কেন।
ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলেছিল অনুমোদন
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির জন্য অনুমোদন মিলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে। আর ৫ মাসের মধ্যেই এর নির্মাণকার্য শুরু হয়ে যায়। এবার থেকে যে কোনও রকম চিপ তৈরি হবে ভারতের মধ্যেই, এই কারখানাতে। সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে টাটার এই কারখানা। উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত NIT থেকে প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েদের গুরুত্ব দেওয়া হবে এই কারখানাতে। আর টাটা ইলেকট্রনিক্সের দ্বিতীয় আরেকটি কারখানা তৈরি হচ্ছে গুজরাতের ঢোলেরাতে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর থেকে সেই কারখানা চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Share Market: দাদু কিনেছিলেন এই শেয়ার, ২০ বছর পর খুঁজে পেতেই কোটিপতি নাতনি