Zerodha: এবার দেশে নতুন ব্যাঙ্ক খুলতে চলেছে জিরোধা ? কী পরিকল্পনা সংস্থার সিইওর ?
Zerodha Bank: নিখিল কামাথ সম্প্রতি জানিয়েছেন যে তিনি প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে জিরোধাকে একটি ব্যাঙ্কে পরিণত করা যায়। বহু বছর ধরেই সেই চেষ্টা করে চলেছেন নিখিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য আসেনি।
Nikhil Kamath and Nithin Kamath: অনলাইন শেয়ার ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম জিরোধা বিগত কয়েক বছরে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জিরোধার (Zerodha) প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথ এবং নীতিন কামাথ দুজনে মিলেই এই সংস্থাকে অনেক বড় করে তুলেছেন। সমাজমাধ্যমেও বিপুল জনপ্রিয়তা কামাথদের। ২০২৪-এর অর্থবর্ষে জিরোধার (Zerodha Bank) মুনাফা ৬২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সংস্থার রেভিনিউ ২১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৩২০ কোটি টাকা। এবার সংস্থা অন্য এক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। নিখিল কামাথ এবং নীতীন কামাথ এখন জিরোধা ব্যাঙ্ক খোলার পরিকল্পনা করছেন।
ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র পেতে চাইছেন কামাথরা
নিখিল কামাথ সম্প্রতি জানিয়েছেন যে তিনি প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে জিরোধাকে একটি ব্যাঙ্কে পরিণত করা যায়। বহু বছর ধরেই সেই চেষ্টা করে চলেছেন নিখিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। নিখিল কামাথ স্পষ্টই জানিয়েছেন যে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাঙ্কের লাইসেন্স তারা অর্জন করতে পারেননি। স্টক ব্রোকিং মার্কেটে গ্রো সংস্থার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্রোকিং সংস্থা হল জিরোধা। গ্রো-এর যেখানে ২৫.১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার আছে, সেখানে জিরোধার মার্কেট শেয়ার আছে ১৭ শতাংশ।
ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বড় বড় সংস্থাকে টেক্কা দিতে হবে
একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিখিল কামাথ জানিয়েছেন যে, 'আমরা এত টাকা নিয়ে কী করব ? আমরা বসে বসে আরাম করতে চাই না। আমরা নিজেদের একটি ব্যাঙ্ক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, কিন্তু এখনও এই কাজে আমরা সাফল্য পাইনি।' তিনি আরও বলেন যে জিরোধা খুব দ্রুত সমৃদ্ধ হচ্ছে, বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ফিনান্সিয়াল সেক্টরে বড় বড় সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে তাদের। বড় সংস্থার কাছে ফান্ড অনেক বেশি এবং রিসোর্স অনেক বেশি রয়েছে। আর এদিকে খুব ছোট্ট একটা টিম নিয়ে এগিয়ে চলেছে জিরোধা।
পাবলিক মার্কেট ইনভেস্টমেন্ট ও ইনসিওরেন্স সেক্টরেও সম্ভাবনা খুঁজছে
জিরোধার সিইও জানান যে সেবি যেভাবে নিরন্তর তাঁর নিয়মে বদল আনছে তা এই সংস্থার সমৃদ্ধির পক্ষে বাধা হয়ে উঠছে। ফিউচারস ও অপশনস নিয়ে সেবির নতুন নিয়ম আগামী মাস অর্থাৎ নভেম্বর থেকেই কার্যকর হবে। এর ফলে সংস্থার ব্যবসার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত হতে পারে। অন্যদিকে সংস্থার F&O ব্যবসার ৬০ শতাংশে আসতে পারে প্রভাব। তিনি জানান যে সংস্থা সম্পূর্ণভাবে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির নিয়মের বাঁধনে আবদ্ধ। আর সেই কারণেই অন্য সেক্টরে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছে এই সংস্থা।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: দশমীতে সস্তা হল পেট্রোল ডিজেল, ৫ জেলায় কমল দাম- কলকাতায় কত করে লিটার ?